সেপ্টেম্বর ৭, ২০২৪ ৯:০৩ পূর্বাহ্ণ
খেলোয়াড়ি জীবন চলাকালীন সময়েই রাজনীতির ময়দানে পা দেন মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা ও সাকিব আল হাসান। জাতীয় দলের ক্রিকেটার থাকা অবস্থায় দুজনই সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ক্রিকেট থেকে অবসরের আগে রাজনীতিতে যোগ দিয়ে তারা ব্যাপক সমালোচনার শিকার হন। খেলোয়াড়দের রাজনীতিতে সক্রিয় থাকা প্রসঙ্গে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করলেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
ক্রিকবাজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, আমি মনে করি না তাদের একসঙ্গে খেলাধুলা এবং রাজনীতি করা উচিৎ। হয়তো কেউ অবসর নেওয়ার পরে রাজনীতিতে যোগ দিতে পারেন। তবে খেলার সময় এমনটা হওয়া উচিৎ নয় বলে আমি মনে করি। কারণ এতে পেশাদারিত্বের অভাবের কারণে স্বার্থের সংঘাত সৃষ্টি হয়। আমি এটা নিয়ে আগেও বলেছি।
রাজনীতির পাশাপাশি ক্রিকেটারদের বিজ্ঞাপন এবং ব্যবসায় জড়ানো নিয়েও ক্রিকেট বোর্ডের সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়নের দাবি জানিয়েছেন ক্রীড়া উপদেষ্টা।
তার ভাষ্য, শুধু রাজনীতিই নয়, কিছু বিজ্ঞাপন আছে যা আইন এবং মানুষের বিপক্ষে যায়। তারা ব্যবসা করতে পারে। তবে এটা নিয়ে একটা নীতিমালা থাকতে হবে যে তারা কি করতে পারে বা কি না করতে পারে। ভারতের কয়েকজন ক্রিকেটারের নামে বেটিং ব্যবসার (এন্ডোর্সমেন্ট) অভিযোগ আছে। বাংলাদেশিদের নামেও আছে। তাই আমি মনে করি এটা নিয়ে একটা নীতিমালা থাকা উচিৎ। বিসিবি এটা ঠিক করতে পারবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। সাক্ষাৎকারের এক পর্যায়ে তিনি জানান, বিসিবির গঠনতন্ত্রের সকল পরিবর্তন এবং প্রতিদিনের কার্যক্রমে আইসিসির বিধান অনুযায়ী কোনো রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ থাকবে না।