নভেম্বর ২, ২০২৩ ১০:২৬ পূর্বাহ্ণ
৩ নভেম্বর জেল হত্যা দিবস। বাংলাদেশের ইতিহাসে কলঙ্কময় ও বেদনাবিধুর দিন। ১৯৭৫ সালের এই দিনে রাষ্ট্রীয় হেফাজতে জেলখানায় থেকে জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, এম মুনসুর আলী, এ এইচ এম কামারুজ্জামানকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়।
এরপর দীর্ঘ পথপরিক্রমা পাড়ি দিয়ে দিনটিকে জেল হত্যা দিবস ঘোষণা করে আওয়ামী লীগ। এরপর থেকেই প্রতি বছরের ৩ নভেম্বর জেল হত্যা দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
জেল হত্যা দিবসে সমগ্র বাঙালি জাতির সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম বীর সেনানী ও চার জাতীয় নেতাকে যথাযথ শ্রদ্ধা প্রদর্শনের মাধ্যমে দেশের ইতিহাসের অন্যতম বর্বরোচিত এই শোকাবহ অধ্যায়টি সশ্রদ্ধচিত্তে যথাযথ মর্যাদায় নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে স্মরণ করবে আওয়ামী লীগ।
জেল হত্যা দিবসে আওয়ামী লীগের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ধানমন্ডির বঙ্গবন্ধু ভবন ও দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ দেশের সর্বত্র দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ, কালো পতাকা উত্তোলন। সকাল ৭টায় বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ। সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে বনানী কবরস্থানে জাতীয় চার নেতার কবরে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, ফাতেহা পাঠ, মিলাদ মাহফিল ও মোনাজাত।
একইভাবে রাজশাহীতে জাতীয় নেতা কামারুজ্জামানের কবরে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, ফাতেহা পাঠ, মিলাদ মাহফিল ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া বিকেল ৩টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
দিবসটি উপলক্ষে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যার পর খুনি মোশতাক-জিয়াচক্র কারান্তরালে এই জাতীয় চার নেতাকে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করে। তাদের হত্যার উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিজয় ও চেতনাকে নির্মূল করা। কিন্তু বাংলাদেশের মুক্তিকামী মানুষ সুদীর্ঘ লড়াই-সংগ্রাম আর আত্মত্যাগের বিনিময়ে বঙ্গবন্ধুর খুনিচক্র এবং তাদের হত্যার রাজনীতিকে পরাজিত করেছে।
দিবসটি উপলক্ষে সংগঠনের সব সাংগঠনিক জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন শাখা এবং সব সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী, সমর্থক এবং সর্বস্তরের জনগণকে আগামী ৩ নভেম্বর যথাযথ মর্যাদা ও শোকাবহ পরিবেশে স্বাস্থ্যবিধি মেনে জেল হত্যা দিবস পালনের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।