মুনিয়া খান রোজা। নিজেকে পরিচয় দেন গাইনি চিকিৎসক হিসেবে। অথচ চিকিৎশাস্ত্রে ব্যবহৃত ওটি-আইসিইউ’র মতো সাধারণ কিছু শব্দের অর্থও বলতে পারছেন না তিনি।
গত ডিসেম্বরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল থেকে মুনিয়া খান রোজা নামে ঐ ভুয়া গাইনি চিকিৎসককে আটক করেন আনসার সদস্যরা। এরপর তাকে প্রতারণার মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠায় পুলিশ। সেখান থেকে ঐ তরুণীর ঠাঁই হয় কারাগারে।
কারাগার থেকে বের হয়ে মুনিয়া দাবি করেন তিনি ভুয়া ডাক্তার না। তখন তাকে জিজ্ঞেস করা হয় ওটি মানে কী? তিনি বলেন, ওটি মানে সার্জারি করা, ওটি করা। এরপর তাকে জিজ্ঞেস করা হয় আইসিইউ মানে কী? এ প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি বলেন, যেখানে রোগীকে আইসিইউতে মানে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়, অক্সিজেন দেওয়া হয়।
মুনিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ আসে তিনি ডাক্তার না। এর উত্তরে মুনিয়া বলেন, আমি যদি ডাক্তার না হই তাহলে কী আমাকে ঢাকা মেডিকেলে এমনি এমনি পেশেন্ট দেখতে দেয়?
অভিযুক্ত তরুণী ঢাকা মেডিকেল থেকে বেসরকারি হাসপাতালে রোগী ভাগিয়ে নিতেন এবং সুযোগ পেলে চিকিৎসকদের রুমে ঢুকে মোবাইলসহ বিভিন্ন মালামাল চুরি করতেন। এছাড়া নীলক্ষেত থেকে অ্যাপ্রোন, আইডি কার্ড এবং মিডফোর্ড থেকে স্টেথোস্কোপ কিনে প্রতারণায় ব্যবহার করতেন এবং নিজেকে চিকিৎসক পরিচয় দিতেন।
একাধিক সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত মুনিয়া খান রোজা টিকটক সেলিব্রিটি। তিনি ডাক্তার সেজে ও বিভিন্ন চিকিৎসা সরঞ্জামাদি নিয়ে ঢামেকে টিকটক ভিডিও তৈরি করতেন। টিকটকে নিজেকে চিকিৎসক হিসেবেও পরিচয় দিতেন এ তরুণী।
ভুয়া চিকিৎসক মুনিয়া খান রোজা চাঁদপুর সদরের হামান কর্দ্দি গ্রামের মো. করিম খানের মেয়ে। তিনি পুরান ঢাকার নাজিম উদ্দিন রোডে ভাড়া বাসায় থাকেন।