ফ্যাটি লিভারের ধরন ও লক্ষণ, কাদের ঝুঁকি বেশি?

ফ্যাটি লিভারের ধরন ও লক্ষণ, কাদের ঝুঁকি বেশি?

স্বাস্থ্য

নভেম্বর ২০, ২০২৩ ১:৪৩ অপরাহ্ণ

বর্তমান বিশ্বে অনেকেই ভুগছেন ফ্যাটি লিভারের সমস্যায়। ফ্যাটি লিভারের সমস্যা আবার দুই ধরনের হয়ে থাকে। যেমন- অ্যালোহলিক ও নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার।

অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার হওয়ার মূল কারণ হলো মদ্যপান। তবে নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার অ্যালকোহল সেবনের সঙ্গে যুক্ত নয়। যে কারো এ সমস্যাটি হতে পারে। তবে জীবনযাত্রার অনিয়মের ফলেই এ রোগ বেশি দেখা দেয়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, সবার শরীরেরই বিভিন্ন স্থানে জমে ফ্যাট। যাদের পেটে চর্বির পরিমাণ বেশি, তাদের লিভারে ফ্যাটের আস্তরণ বেড়ে যায়।

আস্তে আস্তে পুরো লিভারের ওপরই চর্বির আস্তরণ পড়ায় শরীরের গুরুত্বপূর্ণ এই অঙ্গটি তার নির্দিষ্ট কাজ করতে পারে না। ফলে শরীরে বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হয়। ঠিক সময়ে এর চিকিৎসা করা না হলে এর থেকে হতে পারে লিভার সিরোসিস।

ফ্যাটি লিভারের লক্ষণ কী কী?

প্রাথমিক অবস্থায় রোগের কোনো লক্ষণ প্রকাশ না পেলেও, সমস্যা কিছুটা বাড়লে পেটের উপরের ডানদিকে ব্যথা হয়। পেট ভারী হয়ে থাকে। খাবার খেলে হজম হয় না। এই সমস্যায় প্রায়ই ভুগলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে বলেন বিশেষজ্ঞরা।

আরো যেসব লক্ষণ দেখা দেয়

> পেটের উপরের ডানদিকে অস্বস্তি বা ব্যথা
> পেট ফুলে যাওয়া
> জন্ডিস
> ত্বকের পৃষ্ঠের ঠিক নীচে বর্ধিত রক্তনালি
> অব্যক্ত বা অনিচ্ছাকৃত ওজন কমা ইত্যাদি।

কাদের ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি বেশি?

অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস ও উচ্চ কোলেস্টেরলের রোগীদের ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি বেশি। এছাড়া যারা মসলাজাতীয় খাবার বেশি খান তাদের ক্ষেত্রেও এ রোগের ঝুঁকি বেশি।

ফ্যাটি লিভার ডিজিজের ডায়েট কেমন হবে?

ফ্যাটি লিভার রোগীদের উচিত স্যাচুরেটেড ফ্যাট গ্রহণ না করা। এক্ষেত্রে মাখন, ঘি থেকে দূরে থাকতে হবে। এর পাশাপাশি তেল জাতীয় খাবারও বাদ দিতে হবে। ফাস্ট ফুড থেকেও দূরে থাকতে হবে। দৈনিক পাতে রাখতে হবে ফল ও সবজি।

সঠিক ডায়েটের পাশাপাশি শরীরের অতিরিক্ত মেদ-ভুঁড়ি কমাতে দৈনিক ব্যায়ামও করতে হবে। এক্ষেত্রে একটানা ৪৫ মিনিট ব্যায়াম করুন। পাশাপাশি চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধও খেতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *