অক্টোবর ২৫, ২০২৩ ১১:৫০ পূর্বাহ্ণ
অবরুদ্ধ গাজার হাসপাতালগেুলোতে চিকিৎসাব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। মঙ্গলবার হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে।
বিবৃতিতে হামাস বলছে, গাজার ৩২টি হাসপাতালের মধ্যে ১২টিতে এখন সেবাদান পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বাকি হাসপাতালগুলোর সেবাদান সক্ষমতা ফুরিয়ে যাবে। বেশিরভাগ হাসপাতালে জ্বালানির মজুত তলানি নেমেছে। হাসপাতালের দরজা খোলা থাকার মানে এই নয় যে, সেখানে আহতদের জন্য সেবাদান করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার দিবাগত রাতে গাজায় তীব্র বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে আরো শতাধিক প্রাণহানি ও আহতের তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। একই সময় ফিলিস্তিনের জেনিন শরণার্থীশিবিরে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে এক ফিলিস্তিনি নাগরিক নিহত হয়েছে।
অন্যদিকে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, হামাসের হামলা শূন্য থেকে হয়নি। ফিলিস্তিনের মানুষ ৫৬ বছর ধরে শ্বাসরুদ্ধকর দখলদারিত্বের শিকার হয়েছে। তারা তাদের ভূখণ্ড বসতিতে পরিণত হতে এবং সহিংসতায় জর্জরিত হতে দেখেছে। তাদের অর্থনীতি থমকে গেছে। এই মানুষগুলো বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং তাদের ঘরবাড়ি ধ্বংস করা হয়েছে। তাদের দুর্দশার রাজনৈতিক সমাধানের আশা ধূলিসাৎ হয়ে গেছে।
নিরাপত্তা পরিষদের অধিবেশনে জাতিসংঘের মহাসচিব আরো বলেন, ফিলিস্তিনিদের দুর্দশার কারণে হামাসের ভয়ংকর হামলা ন্যায্যতা পেতে পারে না। আর ওই ভয়ংকর হামলার কারণে ফিলিস্তিনি মানুষদের সম্মিলিতভাবে যে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে, তাও ন্যায্যতা পায় না।
ইসরায়েলের নাম উল্লেখ না করে গুতেরেস বলেন, বেসামরিক লোকজনকে রক্ষা করার অর্থ তাদের মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা নয়। সুরক্ষা দেওয়ার অর্থ এই নয় যে, ১০ লাখ মানুষকে দক্ষিণে চলে যেতে বলা, যেখানে কোনো আশ্রয় নেই, খাবার নেই, পানি নেই, ওষুধ নেই, জ্বালানি নেই। আর মানুষকে দক্ষিণে যেতে বলে সেখানে বোমাবর্ষণ চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে।