বাংলাদেশের সঙ্গে একটি নতুন অংশীদারত্ব ও সহযোগিতা চুক্তি নিয়ে আলোচনা স্থগিত করছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। আগামী সেপ্টেম্বরে প্রথম দফার ওই আলোচনা শুরু হওয়ার কথা ছিল। বুধবার ইইউ’র পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। রয়টার্স।
নতুন অংশীদারত্ব ও সহযোগিতা চুক্তি নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও বাংলাদেশের মধ্যে প্রথম দফার আলোচনা স্থগিত করার এ সিদ্ধান্ত এসেছে সাম্প্রতিক কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ঘটা সহিংস ঘটনার প্রতি ইইউর সাড়া হিসাবে।
ইইউ’র পররাষ্ট্রনীতি প্রধান জোসেপ বোরেল গত সপ্তাহে বাংলাদেশে ‘দেখামাত্র গুলি’ এবং ‘কর্তৃপক্ষের সংঘটিত’ হত্যাকাণ্ডের পাশাপাশি আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তাদের হত্যা, গণগ্রেফতার এবং সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতির সমালোচনা করেছিলেন। বাংলাদেশ সরকার অবশ্য তাজা গুলি ছোড়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রবিষয়ক মুখপাত্র নাবিলা মাসরালি রয়টার্সকে একটি ই-মেইলে বলেছেন, বর্তমান পরিস্থিতির আলোকে সেপ্টেম্বরের জন্য পরিকল্পিত অংশীদারত্ব ও সহযোগিতা চুক্তির প্রথম দফার আলোচনা স্থগিত করা হয়েছে এবং পরবর্তী কোনো তারিখ এখনো ঠিক করা হয়নি।
বাংলাদেশ অবশ্য জানিয়েছে ১০ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের সময় সূচির সঙ্গে সাংঘর্ষিক হওয়ার কারণে আলোচনাটি নভেম্বর পর্যন্ত বিলম্বিত হয়েছে। বাংলাদেশের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব উত্তম কুমার কর্মকার বলেছেন, এই বিলম্বটি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের কারণে হয়েছিল এবং সাম্প্রতিক সহিংসতার আগে এটি ঠিক করা হয়েছিল। বাংলাদেশের এই প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি ইইউ।