এপ্রিল ৪, ২০২৪ ১০:০৩ পূর্বাহ্ণ
যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সম্পর্কে প্রথম বাধা তাইওয়ান। এমনটাই ইঙ্গিত দিলেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে প্রায় দুই ঘণ্টার টেলিফোন আলাপে এমন কথা বলেন তিনি। শির মতে, ‘তাইওয়ান ইস্যুটি চীন-মার্কিন সম্পর্কের প্রথম অপ্রত্যাশিত লাল রেখা।’ তবে এক্ষেত্রে বাইডেন ‘তাইওয়ান প্রণালিজুড়ে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার গুরুত্ব এবং দক্ষিণ চীন সাগরে আইনের শাসন এবং নৌচলাচলের স্বাধীনতার ওপর জোর দিয়েছেন।’ রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সিনহুয়ার প্রতিবেদনে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। দ্য গার্ডিয়ান।
গত বছরের নম্ভেবরে শীর্ষ সম্মেলনের পর আবারও সরাসরি আলাপ করলেন শি ও বাইডেন। তাইওয়ান ছাড়াও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, নিরাপত্তাসহ বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন দুই নেতা। রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারকারী সিসিটিভি বলেছে, ‘দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে চীন-মার্কিন সম্পর্ক এবং উভয় পক্ষের অভিন্ন উদ্বেগের বিষয়গুলোর ওপর অকপট ও গভীরভাবে মতবিনিময় হয়েছে।’ এরই মাঝে তাইওয়ানের চারপাশে ঘুরছে চীনের সামরিক বিমান। বুধবার দ্বীপরাষ্ট্রটি জানিয়েছে, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত তাইওয়ানের চারপাশে চীনের ৩০টি সামরিক বিমানকে ঘোরাঘুরি করতে দেখা গেছে। এর মধ্যে ২০টি চীনা সামরিক বিমান দ্বীপটির তথাকথিত এয়ার ডিফেন্স আইডেন্টিফিকেশন জোনে (এডিআইজেড) প্রবেশ করেছে বলে জানিয়েছে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। চলতি বছরে তাইওয়ানের আকাশে এটাই একদিনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ চীনা সামরিক বিমানের উপস্থিতি বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
চীন বরাবরই তাইওয়ানকে তাদের মূল ভূখণ্ডের অংশ বলেই মনে করে। প্রায়ই তাইওয়ানের আকাশসীমায় প্রবেশ করে চীনা সামরিক বিমান। যদিও সরাসরি কখনো কোনো সামরিক অভিযানে তারা অংশ নেয়নি। তবে চীন প্রায় প্রতিদিনই তাইওয়ানের চারপাশে যুদ্ধবিমান এবং নৌযান মোতায়েন করছে। সম্প্রতি দ্বীপটির ওপর দিয়ে বেলুন উড়ানোর ঘটনাও বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু এটা তাইওয়ানের জন্য বড় ধরনের একটি অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।