সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৩ ১০:০৫ পূর্বাহ্ণ
লিবিয়ায় ঘূর্ণিঝড়ে মারা যাওয়া ছয় বাংলাদেশির মধ্যে দুজনের বাড়ি রাজবাড়ী জেলায়। নিহতরা হলেন- রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার যশাই ইউনিয়নের ধোপাকেল্লা গ্রামের দুলাল খাঁর ছেলে সুজন খান ও একই উপজেলার হাবাসপুর ইউনিয়নের হাবাসপুর গ্রামের আরশেদ মন্ডলের ছেলে শাহিন শেখ।
জানা গেছে, লিবিয়ার ত্রিপোলি শহর থেকে ১৩৪০ কিলোমিটার দূরের শহর দারনায় রবিবার রাতে ঘূর্ণিঝড় ‘দানিয়েল’ আঘাত হানে। এতে নিহতদের মধ্যে ছয় বাংলাদেশি রয়েছেন।
সুজনের বড় ভাই জুবায়ের খান ফোনে বলেন, ২০১৯ সালে লিবিয়াতে পাড়ি জমায় সুজন। সংসারের খরচ সে চালাতো। গতকাল হঠাৎ খবর পেলাম, সুজন লিবিয়াতে ঘূর্ণিঝড়ে মারা গেছে। তার মরদেহ কী অবস্থায় আছে আমরা জানি না। আমার মামাতো ভাই লিবিয়াতে থাকে। তার মাধ্যমে একবার খবর পেয়েছি সুজনের লাশ দাফন হয়ে গেছে। আবার খবর পেয়েছি লাশ আছে। সঠিক কোনো তথ্য এখন পর্যন্ত পাইনি। সুজনের মৃত্যুতে আমাদের পরিবারে এখন দিশেহারা।
শাহিনের বাবা আরশেদ মণ্ডল ফোনে বলেন, প্রায় ১০ মাস আগে অনেক কষ্ট করে শাহিনকে লিবিয়াতে পাঠাই। সবকিছু আল্লাহর রহমতে ভালোই চলছিল। হঠাৎ ঘূর্ণিঝড়ে সব লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে আমার। ওই দেশেই তাকে দাফন করা হয়েছে।
হাবাসপুর ইউপি চেয়ারম্যান মামুন খান বলেন, আমার ইউনিয়নের শাহিন নামে এক যুবক লিবিয়াতে ঘূর্ণিঝড়ে মারা গেছেন। এ খবরে বর্তমানে আমার এলাকা থমথমে হয়ে গেছে।
যশাই ইউপি চেয়ারম্যান আবু হোসেন খান বলেন, লিবিয়াতে মারা গেছে সুজন খাঁ। তার অকাল মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার জি এম আবুল কালাম আজাদ জানান, বুধবার রাতে তারা বিষয়টি জানার পর মৃতদের পরিচয় উদ্ধারের চেষ্টা চালান। রাত ১০টার দিকে মৃত দুইজনের পরিচয় নিশ্চিত হন তারা।