সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৪ ৬:১০ পূর্বাহ্ণ
বয়স বলতে সাধারণত আমরা বুঝি যার যার জন্মদিনের সংখ্যা। প্রতিবছর জন্মদিন এলেই মানুষ বুঝে নেয় তার বয়স আরও বাড়ল। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিটি মানুষ চায় তার বয়স যেন তার চেহারায় না দেখা যায়। তার মানে সবাই তরুণ দেখতে চায়। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেকের মুখে নানান রকম দাগ হতে থাকে। এ থেকে স্পষ্ট বোঝা যায়, যে ব্যক্তির বয়স হচ্ছে।
তাই আপনিও যদি চির তরুণ থাকতে চান ও ত্বক আরও সুন্দর রাখতে চান, মুখে বলিরেখা দূর করতে চান, তাহলে নিত্যদিন খাবারের থালায় এগুলি রাখতেই পারেন। এতে ৫০ বছর বয়সেও কিন্তু আপনাকে চির তরুণের মত লাগবে। দেখুন ডায়েটে কী কী রাখবেন?
অ্যালোভেরা: অ্যালোভেরা খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুব ভালো। এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। তাছাড়াও থাকে এনজাইম, ভিটামিন, খনিজ। যা আপনার ত্বকের জন্য খুব ভালো । ২০০৯ সালের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, যে ব্যক্তি নিত্যদিন অ্যালোভেরা খান, তার ত্বক উজ্জ্বল থাকে। শুধু তাই নয়, চুলের জন্য ভীষণ ভালো অ্যালোভেরা খাওয়া।
মধু: মধু খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুব ভালো। যদি আপনি ত্বক ভালো রাখতে চান ও বয়স ধরে রাখতে চান, নিত্যদিন খেতেই পারেন। মধুতে প্রচুর পরিমাণে উপকার রয়েছে। যেমন- মধুতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। যদি আপনি নিত্যদিন মধু খেতে পারেন বা ত্বকে লাগাতে পারেন। তাহলেও কিন্তু আপনার রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়বে। ত্বক উজ্জ্বল হবে। বড় রোগের ঝুঁকি কমবে।
শশা: বয়স ধরে রাখতে নিত্যদিন পাতে রাখুন শশা। শশাতে প্রচুর পরিমাণে জল থাকে। তাছাড়া এতে পরিমাণে ভিটামিন সি, ফলিক অ্যাসিডের মতো উপাদান। যা আপনার ত্বক ভালো রাখতে সাহায্য করবে। ২০২১ সালের সমীক্ষায় দেখা গেছে, ত্বকে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। যা রিঙ্কেল তুলতেও সাহায্য করে। এমনকি ত্বকের কোনও রোগের ঝুঁকি কমতে সাহায্য করে। তাই আপনিও রোজ খাবেন শশা। তবে বেশি পরিমাণে খাবেন না।
অ্যাভোকাডো: অ্যাভোকাডোতে প্রচুর গুণ রয়েছে। তছাড়াও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি ইনফ্লেমেন্টরি, ভিটামিন সি থাকে। যদি আপনি নিত্যদিন এটি খেতে পারেন তাহলে শরীর সুস্থ থাকবে। সেই সঙ্গে কঠিন রোগের ঝুঁকি কমবে। তাই আজ থেকেই খান।
আপেল: যে ব্যক্তি রোজ আপেল খান, তার শরীর সুস্থ থাকে। তার বয়স কিন্তু সহজে বোঝা যায় না। তাই আপনিও কিন্তু নিত্যদিন পাতে রাখুন আপেল। যদি আপনি কোনও রোগে আক্রান্ত থাকেন, এগুলি খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।