ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি শাটডাউনের কারণে বিমান চলাচলে বড় ধরনের বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। শুক্রবার (৭ নভেম্বর) একদিনেই দেশটির অভ্যন্তরীণ রুটে পাঁচ হাজারেরও বেশি ফ্লাইট বাতিল বা বিলম্বিত হয়েছে। সরকারি কর্মী সংকটের কারণে অন্তত ৪০টি গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দরে ফ্লাইট বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে বিমান সংস্থাগুলো।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওয়াশিংটনের রিগান বিমানবন্দরে ফ্লাইটগুলো গড়ে চার ঘণ্টা বা প্রায় ২৪০ মিনিট দেরিতে পৌঁছেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পরিবহনমন্ত্রী সিন ডেফি জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত মোট ফ্লাইটের প্রায় ৪ শতাংশ বাতিল হয়েছে। তবে পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে আগামী সপ্তাহে এই সংখ্যা ১০ শতাংশ পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।
আমেরিকান, সাউথওয়েস্ট ও ডেলটা এয়ারলাইনসের মতো শীর্ষ বিমান সংস্থাগুলো জানিয়েছে, যাত্রীদের অসুবিধার কারণে তারা টিকিটের অর্থ ফেরত দিচ্ছে এবং বিনা মূল্যে ফ্লাইট পরিবর্তনের সুযোগ দিচ্ছে।
ফ্লাইট বাতিল হওয়া ৪০টি প্রধান বিমানবন্দরের মধ্যে নিউইয়র্ক, লস অ্যাঞ্জেলেস, শিকাগো ও ওয়াশিংটন ডিসির মতো ব্যস্ততম শহরগুলোও রয়েছে।
এএফপির খবরে বলা হয়েছে, পরিবহনমন্ত্রী সিন ডেফি সতর্ক করেছেন-সরকারি শাটডাউন চলতে থাকলে তিনি বিমান চলাচল আরও ২০ শতাংশ কমানোর সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
শাটডাউনের কারণে বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তাদের অনুপস্থিতিতে শুক্রবার আটলান্টা, সান ফ্রান্সিসকো, হিউস্টন, ওয়াশিংটন ডিসি ও নিউইয়র্কসহ অন্তত ১০টি বড় বিমানবন্দরে শত শত ফ্লাইট দেরিতে ছেড়েছে।
ফ্লাইট ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট ফ্লাইটঅ্যাওয়ার জানিয়েছে, পূর্বাঞ্চলীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা (গ্রিনিচ সময় রাত সাড়ে ১১টা) পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ৫ হাজার ৩০০টির বেশি ফ্লাইট দেরিতে ছেড়েছে।
রিগান ওয়াশিংটন ন্যাশনাল বিমানবন্দরে গড়ে ফ্লাইটগুলো চার ঘণ্টা বিলম্বিত হয়েছে। সেখানে ১৭ শতাংশ ফ্লাইট বাতিল এবং প্রায় ৪০ শতাংশ দেরিতে ছেড়েছে।
৩৮ দিন ধরে চলমান সরকারি শাটডাউনের কারণে ১৩ হাজার বিমান নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা এবং ৫০ হাজার নিরাপত্তা তল্লাশি কর্মকর্তা বেতন ছাড়াই কাজ করছেন। এ অবস্থায় অনেকে অসুস্থতার অজুহাতে কাজে অনুপস্থিত থাকছেন, কেউ কেউ জীবিকা নির্বাহের জন্য বিকল্প পেশায় যুক্ত হচ্ছেন। গত বৃহস্পতিবার বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাকে জানানো হয়, তারা আগামী সপ্তাহেও দ্বিতীয়বারের মতো বেতন পাবেন না।
রিপোর্টার্স২৪/আয়েশা