রিপোর্টার্স২৪ ডেস্ক : নোবেলজয়ী মার্কিন বিজ্ঞানী এবং ডিএনএ’র গঠন উন্মোচনের অন্যতম আবিষ্কারক জেমস ওয়াটসন মারা গেছেন। ৯৭ বছর বয়সে তার মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যু নিশ্চিত করেছে যুক্তরাষ্ট্রের কোল্ড স্প্রিং হারবার ল্যাবরেটরি। তিনি এ ল্যাবরেটরিতে বহু বছর ধরে গবেষণা ও কাজ করেছেন। শনিবার (০৮ নভেম্বর) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ শতকের অন্যতম যুগান্তকারী বৈজ্ঞানিক সাফল্য হিসেবে ১৯৫৩ সালে ব্রিটিশ বিজ্ঞানী ফ্রান্সিস ক্রিকের সঙ্গে মিলে ডিএনএ অণুর ডাবল হেলিক্স (দ্বি-হেলিক্স) গঠন আবিষ্কার করেন তিনি। এই আবিষ্কার আধুনিক আণবিক জীববিজ্ঞানের ভিত্তি স্থাপন করে। ১৯৬২ সালে তিনি ক্রিক এবং মরিস উইলকিনসের সঙ্গে যৌথভাবে ডিএনএ’র গঠন আবিষ্কারের জন্য নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।
তবে জীবনের পরবর্তী পর্যায়ে বর্ণ ও লিঙ্গ নিয়ে তার বিতর্কিত মন্তব্য তার সুনামকে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে। একাধিক সাক্ষাৎকারে তিনি আফ্রিকান বংশোদ্ভূত মানুষের বুদ্ধিমত্তা সম্পর্কে বৈজ্ঞানিকভাবে অস্বীকৃত ও বর্ণবাদী মন্তব্য করেছিলেন। এসব মন্তব্যের জেরে ২০০৭ সালে তিনি কোল্ড স্প্রিং হারবার ল্যাবরেটরির চ্যান্সেলর পদ হারান। ২০১৯ সালে একই ধরনের মন্তব্য পুনরায় করায় প্রতিষ্ঠানটি তার সব সম্মানসূচক উপাধি বাতিল করে দেয়।
ওয়াটসন ১৯২৮ সালের এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরে জন্মগ্রহণ করেন। মাত্র ১৫ বছর বয়সে তিনি ইউনিভার্সিটি অব শিকাগোতে ভর্তি হন। পরবর্তীতে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার সময় ফ্রান্সিস ক্রিকের সঙ্গে তার পরিচয় হয় এবং সেখানেই তারা যৌথভাবে ডিএনএ’র ত্রি-মাত্রিক মডেল তৈরি করেন।
ওয়াটসন পরবর্তীতে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে জীববিজ্ঞানের অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। ১৯৬৮ সালে তিনি কোল্ড স্প্রিং হারবার ল্যাবরেটরির পরিচালক হন এবং প্রতিষ্ঠানটিকে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ গবেষণা কেন্দ্রে পরিণত করেন।
২০১৪ সালে তিনি তার নোবেল পদক নিলামে বিক্রি করেন। তার পদকটি ৪ দশমিক ৮ মিলিয়ন ডলারে কেনেন এক রুশ ধনকুবের। তবে পরবর্তীতে তিনি সেটি ওয়াটসনকে ফিরিয়ে দেন।
রিপোর্টার্স২৪/আরকে