রিপোর্টার্স২৪ ডেস্ক: হাঙ্গেরিকে রাশিয়ার তেল ও গ্যাস আমদানিতে এক বছরের ছাড় দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। রুশ জ্বালানির ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকলেও, নির্ধারিত সময়ে আমদানি চালিয়ে যেতে পারবে দেশটি। হোয়াইট হাউজের এক কর্মকর্তার বরাতে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, অরবানের জন্য অন্য জায়গা থেকে তেল ও গ্যাস আমদানি করা খুবই কঠিন। তাই দেশটিকে ছাড় দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় আছে। শুক্রবার (৭ নভেম্বর) হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবানের হোয়াইট হাউজে সাক্ষাৎ করলে এই ছাড়ের কথা জানান তিনি।
ট্রাম্পের বলেন, হাঙ্গেরির ভৌগোলিক সীমাবদ্ধতা আছে। তারা সমুদ্রপথে তেল উত্তোলনের সুযোগ পায় না। তিনি অন্য ইউরোপীয় দেশ যারা স্থলবেষ্টিত না হয়েও রুশ পণ্য কিনছে তাদের ওপর বিরক্তি প্রকাশ করেন।
গত মাসে রাশিয়ার দুটি বৃহত্তম তেল কোম্পানিকে কার্যত কালো তালিকাভুক্ত করে যুক্তরাষ্ট্র। একইসঙ্গে, যেসব দেশ তাদের সঙ্গে বাণিজ্য করবে, তাদের ওপরও নিষেধাজ্ঞার হুমকি দেয়।
হোয়াইট হাউজে বৈঠকের পর হাঙ্গেরির পররাষ্ট্রমন্ত্রী পিটার সিজিয়ার্তো এক্সে লেখেন, বুদাপেস্টকে রুশ তেল ও গ্যাস সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা থেকে 'পূর্ণ ও সীমাহীন অব্যাহতি' দিয়েছে ওয়াশিংটন।
তবে পরে এক মার্কিন কর্মকর্তা বিবিসিকে নিশ্চিত করেন, ওই অব্যাহতি কেবল এক বছরের জন্য সীমিত।
সাক্ষাতে প্রকাশিত আলোচনা থেকে জানা যায়, স্থলবেষ্টিত হওয়ায় রুশ জ্বালানির ওপর হাঙ্গেরির নির্ভরশীলতা অনুধাবন করেছেন ট্রাম্প। তিনি দেশটির অবস্থা বুঝে সহানুভূতি প্রকাশ করেন। অবশ্য, ওই অংশে ছাড়ের বিষয়ে কোনও বক্তব্য ছিল না।
নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, হাঙ্গেরি কয়েক শ মিলিয়ন ডলারের মার্কিন প্রাকৃতিক গ্যাস কিনতে সম্মত হয়েছে। তবে ইউরোপের বহু দেশ যারা দীর্ঘদিন ধরে হাঙ্গেরির রুশপন্থী নীতির বিরোধিতা করছে, তাদের কাছে মার্কিন সিদ্ধান্ত ভালোভাবে গৃহীত হবে না।
ভিক্টর অরবান একদিকে যেমন ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র, তেমনি ইউক্রেন যুদ্ধকে ঘিরে পশ্চিমাদের চক্ষুশূলে পরিণত হওয়া রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গেও পুরো সময় সদ্ভাব বজায় রেখেছেন।
রিপোর্টারর্স২৪/এসসি