রিপোর্টার্স২৪ ডেস্ক: আফগানিস্তানের সীমান্তবর্তী উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলে পাকিস্তানি নিরাপত্তা বাহিনী গোপন আস্তানায় অভিযান চালিয়ে ২০ জন তালেবান বিদ্রোহীকে হত্যা করেছে। সোমবার পাকিস্তানের সেনাবাহিনী এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
পাশাপাশি, ইস্তাম্বুলে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের তৃতীয় দফার শান্তি আলোচনায় কোনো চুক্তি আসেনি। দুই দেশ একে অপরকে দোষারোপ করেছে। কাতার ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় আলোচনা শুরু হলেও, সীমান্ত সংঘর্ষের পর উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা কমেনি।
নিহতদের পাকিস্তান সরকার ‘খোয়ারিজ’ হিসেবে বর্ণনা করেছে। এটি মূলত নিষিদ্ধ তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) সদস্যদের জন্য ব্যবহৃত শব্দ। টিটিপি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘ উভয়ই সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে স্বীকৃত।
পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রবিবার খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের আগের টিটিপি ঘাঁটি, উত্তর ওয়াজিরিস্তানে আট জঙ্গি নিহত হয়েছে। একই সময় দারা আদম খেল জেলায় পৃথক অভিযানে আরও ১২ জন নিহত হয়েছে।
গত ৯ অক্টোবর কাবুলে ড্রোন হামলার পর পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে। পরবর্তী সংঘর্ষে সেনা, বেসামরিক নাগরিক এবং জঙ্গিসহ কয়েক ডজন মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। ১৯ অক্টোবর কাতার মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি হলেও সমস্যার মূল সমাধান হয়নি।
আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি বলেছেন, কাবুল প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যে তার ভূখণ্ড অন্য দেশের বিরুদ্ধে ব্যবহার হবে না, কিন্তু তিনি বর্তমান অচলাবস্থার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করেন। পাকিস্তান পক্ষের বিবৃতিতেও বলা হয়েছে, টিটিপি নিয়ন্ত্রণে নিলে সন্ত্রাসবাদের মূল সমস্যা সমাধান হবে।
টিটিপি আফগান তালেবান থেকে পৃথক হলেও মিত্র, এবং ২০২১ সালের আফগান তালেবান ক্ষমতায় ফেরার পর থেকে দলটির কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি পেয়েছে।
সূত্র : এপি
রিপোর্টার্স২৪/ঝুম