রিপোর্টার্স২৪ ডেস্ক: ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরাইলি হামলায় একদিনে ৩৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানায়, চলমান যুদ্ধবিরতির মধ্যেও গাজা সিটি ও খান ইউনূস উপত্যকার বিভিন্ন এলাকায় হামলা অব্যাহত রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ১০ অক্টোবর যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়া সত্ত্বেও ইসরাইলের এই অভিযান উপত্যকায় নিহত ও আহতের সংখ্যা বৃদ্ধি করেছে।
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস মন্তব্য করেছে, এই ধরনের হামলা পরিস্থিতিকে আরও ভয়াবহ দিকে ঠেলে দিতে পারে। তারা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে আহ্বান জানিয়েছে, ইসরাইলকে নিয়ন্ত্রণে আনা এবং যুদ্ধবিরতি কার্যকর রাখা জরুরি।
অধিকৃত পশ্চিম তীরেও সাধারণ মানুষ ইসরাইলি সেনাদের অভিযানের শিকার হচ্ছে। চলতি বছরে জেনিন, তুলকারেম ও নুর শামস শরণার্থী শিবির থেকে ৩২ হাজার ফিলিস্তিনি জোরপূর্বক উচ্ছেদ হয়েছে। হামাস এই কর্মকাণ্ডকে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।
ইসরাইলি সেনারা গাজার ‘ইয়েলো লাইন’ এলাকায় একটি রকেট লঞ্চার ও বড় অস্ত্রভাণ্ডার জব্দ করার দাবি করেছে। গাজার স্থানীয় গণমাধ্যম জানায়, ইসরাইলি ট্যাঙ্কসহ সেনারা গাজা সিটির পূর্বাঞ্চলে অগ্রসর হয়েছে এবং যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে। হামলার ফলে মধ্যস্থতাকারী ও নিশ্চয়তাদাতাদের নীরবতা অগ্রহণযোগ্য বলে ফিলিস্তিনি পক্ষ জানিয়েছে।
এদিকে, কাতারও এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে। দেশটি উল্লেখ করেছে, ইসরাইলের কর্মকাণ্ডের কারণে যুদ্ধবিরতি ভেঙে যেতে পারে এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে যুদ্ধবিরতি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছে।
রিপোর্টার্স২৪/ঝুম