রিপোর্টার্স২৪ডেস্ক: জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ট্রাইব্যুনালে ঘোষিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফাঁসির রায় দ্রুত কার্যকর করতে হবে এবং দল হিসেবে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির বিচার নিশ্চিত করতে হবে। এ দাবিতে এনসিপির আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলে তিনি ঘোষণা দেন।
শনিবার (২২ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জুলাই গণহত্যাকারীদের বিচারের রায় কার্যকর এবং দল হিসেবে আওয়ামী লীগ ও তাদের জোটসঙ্গীদের বিচারের দাবিতে আয়োজিত গণমিছিল শেষে সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন— এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদিব, যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, তাসনূভা জাবিন, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা ও জাতীয় যুবশক্তির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তারিকুল ইসলাম প্রমুখ।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ট্রাইব্যুনালের রায় ঘোষণার পর আমরা শুরু থেকেই তা স্বাগত জানিয়েছি। এটি কোনো প্রতিহিংসার বিচার নয়, জনগণের ন্যায়বিচারের প্রতিফলন। রায় দ্রুত কার্যকর হলে মানুষ ইনসাফ পাবে।
তিনি আরও বলেন, ভারত সরকার শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। আমরা আশা করি, তাকে ফেরত দিয়ে নতুন করে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক গড়ার সুযোগ সৃষ্টি করবে। আমরা বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অব্যাহত দেখতে চাই।
সাবেক সরকারের সময় গুম-খুনসহ মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, এসব ঘটনার বিচার চালিয়ে যেতে হবে এবং রাজনৈতিক দলগুলোকেও এর প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকতে হবে।
এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ মানবতাবিরোধী দল। পিলখানা, শাপলা ও মোদিবিরোধী আন্দোলনসহ বিভিন্ন সময়ে তারা গণহত্যা করেছে। জুলাই আন্দোলনের সময়ও নির্বিচারে গুলি করে মানুষ হত্যা করা হয়েছে। আমরা শেখ হাসিনার ফাঁসি কার্যকর দেখতে চাই।
এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ভোট সামনে রেখে ফ্যাসিবাদী শক্তি জাতীয় পার্টিকে সঙ্গে নেওয়ার চেষ্টা করছে। নাগরিক সমাজের একাংশ আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও ১৪ দল নিয়ে বক্তব্য দিলেও তারা মূলত “ব্যাংক লুটেরাদের” রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করছে। তিনি বলেন, আমরা বেঁচে থাকতে আওয়ামী লীগ রাজনীতি করতে পারবে না। তাদের বিচারের আওতায় আনতেই হবে।
রিপোর্টার্স২৪/বাবি