| বঙ্গাব্দ
ad728
ad728

বিদেশি পে-চ্যানেল এখনো নিয়ন্ত্রণ করে শেখ পরিবার, হুন্ডিতে প্রতি মাসে ভারতে পাচার করছে কোটি টাকা

রিপোর্টারের নামঃ মোঃ আবু সাইদ
  • আপডেট টাইম : 07-04-2025 ইং
  • 3331 বার পঠিত
বিদেশি পে-চ্যানেল এখনো নিয়ন্ত্রণ করে শেখ পরিবার, হুন্ডিতে প্রতি মাসে ভারতে পাচার করছে কোটি টাকা
ছবির ক্যাপশন: বিদেশি পে-চ্যানেল এখনো নিয়ন্ত্রণ করে শেখ পরিবার, হুন্ডিতে প্রতি মাসে ভারতে পাচার করছে কোটি টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক: স্বৈরাচার শেখ হাসিনার চাচাতো ভাই শেখ সোহেলের প্রতিষ্ঠান মিডিয়া কেয়ার লিমিটেড বিদেশি পে- চ্যানেলসমুহ ডিস্টিবিউশনের শতকোটি টাকা ভ্যাট ফাঁকি এবং হুন্ডির মাধ্যমে ভারতে অর্থ পাচার করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। একই অভিযোগ উঠেছে ক্যাবল অপারেটরদের সংগঠন কোয়াব এর প্রেসিডেন্ট এবিএম সাইফুল হোসেন সোহেলের ওয়ান অ্যালায়েন্স লিমিটেডের পরিবেশিত কালার চ্যানেল এর  বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, বিদেশি চ্যানেল প্রদর্শনের মাধ্যমে প্রতিমাসে আয় করা কোটি কোটি টাকা সরকার বিরোধী কর্মকাণ্ডে এবং আওয়ামী লীগকে ফেরানোর ষড়যন্ত্রের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এসব অভিযোগের বিষয় জেনেও তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলেও অভিযোগ।

সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টা, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং দূর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যানের কাছে এ অভিযোগগুলো করে বিপুল সংখ্যক ক্যাবল অপারেটররা।

প্রধান উপদেষ্টার কাছে পাঠানো এক অভিযোগপত্রে জানা গেছে, স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা ঘনিন্ঠ আত্বীয় শেখ সোহেল এর ছত্রছায়ায়  এবং প্রচ্ছন্ন মালিকানায় বিদেশী পে-চ্যানেলের ( জি, সনি ও ডিসকোভারি) একচেটিয়া রাজত্ব কায়েম করেন। শেখ হাসিনার ভাই হওয়ায় কেও ভয়ে প্রতিবাদ করতে পারতো না। বাংলাদেশের সকল ক্যাবল অপারেটররা ভয়ে অতিরিক্ত পেমেন্ট দিতে বাধ্য হত। এমনো দিন আছে ক্যাবল অপারেটরদের ২০০% আপগ্রেডেশন/অতিরিক্ত অর্থ দিতে হয়েছে। তা না হলে সকল চ্যানেল বন্ধ করে প্রশাসনের মামলা দেওয়া হতো। ক্যাবল অপারেটরদের কাছে চ্যানেল নবায়ন বাবদ অর্থ গ্রহণ করে কোন প্রকার ভ্যাট চালান প্রদান না করে ব্যবসা করে আসছে। ২০২০ সালের আগস্ট থেকে ভ্যাট এবং সাপ্লিমেন্টারি শতকরা ৪৩.৭৫ হার নির্ধারণ করা হলেও বিপুল পরিমাণ ভ্যাট এবং সাপ্লিমেন্টারি ফাঁকি দিয়ে আসছে শেখ সোহেলের মিডিয়া কেয়ার।

অভিযোগে বলা হয়েছে, এখনও তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের কিছু কর্মকর্তা শেখ সোহেলের লোক লূৎফর রহমান নাসিম ও রাশেদ মালেক চ্যানেল ডিস্ট্রিবিউশন ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। মিডিয়া কেয়ারে অধীনে পরিচালিত জি গ্রুপ, সনি গ্রুপ ডিসকোভারি গ্রুপ ও কালারস গ্রুপের চ্যানেলের ডিস্ট্রিবিউশন মেয়াদ শেষ হলেও এখনও ক্যাবল অপারেটরদেরকে কাছ থেকে অর্থ আদায় করে আসছে। বিগত বছরগুলোতে বিদেশি চ্যানেলগুলোর সঙ্গে চুক্তি মোতাবেক বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে হুন্ডির মাধ্যমে পাচারা করছে শেখ সোহেল।

অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, বর্তমানে ‘মিডিয়া কেয়ার লিমিটেডে’ পরিচালিত হচ্ছে বনানীর ৭ নং রোডের ৭৪ নং বাসা থেকে, যা আগে শেখ সোহেলের গুলশানের বাসা থেকে পরিচালিত হত।

বর্তমানে শেখ সোহেলের মিডিয়া কেয়ারকে সহযোগিতা দেয়ার অভিযোগ রয়েছে ক্যাবল অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (কোয়াব) বর্তমান সভাপতি এবিএম সাইফুল হোসেন সোহেলের বিরুদ্ধে। অভিযোগে বলা হয়েছে, কোয়াব সভাপতির কোম্পানি ওয়ান এলাইনস্ লিমিটেড এবং শেখ সোহেলের মিডিয়া কেয়ার উভয়ই ভ্যাট ফাঁকি দিচ্ছে।

প্রধান উপদেষ্টার কাছে পাঠানো অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়েছে, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ও তার দোসররা এখনো ভারতে অবস্থান করে ভারতীয় পে-চ্যানেলের রমরমা ব্যবসা করে যাচ্ছে এবং ক্যাবল অপারেটরদের কাছ থেকে অবৈধভাবে অর্থ আদায় করে হুন্ডির মাধ্যমে ভারতে পাচার করছে।

স্বৈরাচার শেখ হাসিনার চাচাতো ভাই শেখ সোহেলের প্রতিষ্ঠান মিডিয়া কেয়ার লিমিটেড বিদেশি পে- চ্যানেলসমুহ ডিস্টিবিউশনের শতকোটি টাকা ভ্যাট ফাঁকি এবং হুন্ডির মাধ্যমে ভারতে অর্থ পাচার করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।


ad728

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ad728
ad728
ফেসবুকে আমরা...
নামাজের সময়সূচী
জাতীয় সঙ্গীত
©সকল কিছুর স্বত্বাধিকারঃ রিপোর্টারস ২৪ | আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ
সকল কারিগরী সহযোগিতায় ক্রিয়েটিভ জোন ২৪