আশিস গুপ্ত, নতুন দিল্লি :
২২শে এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে প্রাণঘাতী সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে তীব্র সামরিক উত্তেজনার আবহে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) ২০২৫ অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) ধর্মশালায় পাঞ্জাব কিংস বনাম দিল্লি ক্যাপিটালস ম্যাচ চলাকালীন হামলার সতর্কতা জারি হওয়ায় খেলাটি মাঝপথে পরিত্যক্ত হয় এবং দর্শকদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়। তার ঠিক একদিন পর বিসিসিআই এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়, যা শুধু ক্রিকেটাঙ্গনে নয়, গোটা অঞ্চলে এক অস্বাভাবিক পরিস্থিতির ইঙ্গিত দিচ্ছে।
এই মরসুমে ইতোমধ্যেই মোট ৫৮টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাকি ছিল আরও ১২টি লিগ ম্যাচ এবং চারটি প্লে-অফের খেলা, যার মধ্যে কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে নির্ধারিত ছিল ফাইনাল ম্যাচ। নির্ধারিত ভেন্যুগুলির মধ্যে ছিল লখনউ (২টি ম্যাচ), হায়দ্রাবাদ, আহমেদাবাদ (৩টি ম্যাচ), দিল্লি, চেন্নাই, ব্যাঙ্গালুরু (২টি ম্যাচ), মুম্বাই এবং জয়পুর। প্লে-অফ ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল হায়দ্রাবাদ ও কলকাতায়।
বিসিসিআই-এর এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘দেশ যখন যুদ্ধে লিপ্ত, তখন ক্রিকেট চলতে থাকাটা শোভনীয় নয়।’ বোর্ডের মতে, খেলোয়াড়, কোচ ও কর্মকর্তা সহ সংশ্লিষ্ট সকলকে অবিলম্বে নিজ নিজ গন্তব্যে নিরাপদে ফেরত পাঠানো এখন সবচেয়ে বড় অগ্রাধিকার। সূত্রমতে, বেশ কয়েকজন বিদেশি খেলোয়াড় ও সাপোর্ট স্টাফ আজই ভারত ত্যাগ করবেন।
আইপিএল-এর ভবিষ্যৎ নিয়ে এখনো কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা ঘোষণা করা হয়নি। বোর্ড আগস্ট-সেপ্টেম্বরের সম্ভাব্য সময়সূচী বিবেচনা করলেও এটি কার্যকর হলে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতের পূর্বনির্ধারিত সফর এবং এশিয়া কাপ ২০২৫-এর ওপরও প্রভাব পড়তে পারে। সাম্প্রতিক ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা এবং বাংলাদেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কে দেখা দেওয়া শীতলতার কারণে আঞ্চলিক ক্রীড়া-কূটনীতিও এখন অনিশ্চয়তার সম্মুখীন।
যুদ্ধাবস্থার সম্ভাবনার মধ্যে, ক্রীড়া, কূটনীতি ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা—সবকিছুই আজ প্রশ্নের মুখে। আইপিএল ২০২৫-এর স্থগিতাদেশ তাই শুধু একটি ক্রীড়া টুর্নামেন্টের বিরতি নয়, বরং এক গভীর রাজনৈতিক সংকেত—যেখানে ক্রিকেট মাঠেও অনুরণিত হচ্ছে যুদ্ধের দামামা।
এর আগে ভারতে জাতীয় নির্বাচন কিংবা করোনা মহামারির সময়েও আইপিএল বন্ধ হয়নি। সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল অন্য দেশে। কিন্তু ভারত-পাক সংঘাতের মাঝে স্থগিত করা হলো জনপ্রিয় ক্রিকেট লিগটি।
বৃহস্পতিবার ম্যাচ বাতিল হয়ে যাওয়ার পর এক প্রতিক্রিয়ায় পিটিআইকে আইপিএলের সিইও অরুণ ধুমাল বলেছিলেন, “আমরা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছি। প্রতি মুহূর্তে পরিস্থিতি বদলাচ্ছে। সরকারের তরফে আমাদের কোনো নির্দেশ দেওয়া হয়নি। পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এখনও পর্যন্ত শুক্রবারের (আজও একটি ম্যাচ হওয়ার কথা ছিল) ম্যাচ হবে বলেই ধরে নেওয়া হচ্ছে। যদিও পরিস্থিতি প্রতি মুহূর্তে বদলে যাচ্ছে। সব পক্ষের কথা মাথায় রেখেই আগামী দিনে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
রিপোর্টার্স২৪/ধ্রুব
ফজর | ৩.৫৫ মিনিট ভোর |
---|---|
যোহর | ১১.৫৫ মিনিট দুপুর |
আছর | ৪.৩৩ টা বিকাল |
মাগরিব | ৬.৩২ টা সন্ধ্যা |
এশা | ৭.৫৫ মিনিট রাত |
জুম্মা | ১.৪০ মিনিট দুপুর |