কলকাতা প্রতিনিধি :
ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাসে আমরা অধিকাংশ সময় চূড়ান্ত দৃষ্টিগোচর ব্যক্তিত্বদের নাম শুনে থাকি, কিন্তু এমন অসংখ্যবীরযোদ্ধা রয়েছেন যাঁদের ত্যাগ আজও ইতিহাসের পাতায়স্থান পায়নি। এরা ছিলেন সেই অকুতোভয় সৈনিক, যারা নিঃস্বার্থভাবে দেশমাতৃকারমুক্তির জন্যজীবন উৎসর্গ করেছেন, অথচ রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির আলো আজও তাঁদের দিগন্ত ছুঁয়ে দেখেনি। তেমনই এক গৌরবময় উত্তরাধিকার বহনকরে চলেছে চক্রবর্তী পরিবার।
পূর্ব বঙ্গের যশোর জেলার মসিয়াহাটির নিকটবর্তী গ্রামসুজাতপুরে ১৮৭৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন শ্রীহ্রয়রঞ্জন চক্রবর্তী। তিনি ১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গবিরোধী আন্দোলন এবং ১৯০৬সালের স্বদেশি আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। তাঁর দেশ প্রেমও নেতৃত্বে অনুপ্রাণিত হয়ে বহুমানুষ ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে সংগঠিত হয়। তাঁর এই সংগ্রামী ভূমিকার জন্য তাঁকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অন্তরীণ করা হয়।
পরবর্তীকালে তিনি নেতাজিসুভাষ চন্দ্রবসুর একনিষ্ঠ অনুগামী হয়ে পূর্ববঙ্গেরসীমান্তে গেরিলাযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তাঁরপুত্র, শ্রীসত্য নারায়ণ চক্রবর্তী, মাত্র ১২বছর বয়সে ১৯৪২ সালের ভারত ছাড়ো আন্দোলনে অংশনেন যা তাঁদের পারিবারিক দেশ প্রেমের শক্তভিত্তিকে আরও গভীরকরে তোলে।
অদ্যাবধি,এইপরিবার তাঁদের আত্মত্যাগও অবদানের জন্য কোনও সরকারি সুবিধা কিংবা স্বীকৃতিরদাবি করেননি। তাঁদের এইনির্লিপ্ত আত্মত্যাগ আমাদের সবার জন্যএক দৃষ্টান্ত। বর্তমানে এই ঐতিহ্য সংরক্ষণ করছেন ড. শঙ্করকুমার চক্রবর্তী, যিনি একজন অবসর প্রাপ্তব্যাঙ্ক কর্মকর্তা এবং সমাজসেবক। তিনি উত্তরাখণ্ডে বসবাসকরেন এবং পারিবারিক ইতিহাসও মূল্যবোধ কেজীবন্তরাখার জন্য নানা সামাজিক কর্মকাণ্ডেযুক্ত।
এই আদর্শকেবহন করছেন তাঁর পুত্র ডঃ শুভ্রচক্রবর্তী একজন খ্যাতনামা ভারতীয় বিজ্ঞানী, উদ্ভাবকও শিক্ষাবিদ। তিনি বায়োসেন্সর প্রযুক্তি, নিউরোমর্ফিক ইঞ্জিনিয়ারিং এবং বায়োমেডিকেল যন্ত্রউদ্ভা বনেরক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জন করেছেন। সমাজ সেবায়ও তিনি সমানভাবে সক্রিয় এবং বঙ্গভাষী মহাসভাফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে ভাষা সংরক্ষণও সচেতনতায় কাজ করছেন। সংবাদমাধ্যমের তরফে এইমহান পরিবারের প্রতিকৃতজ্ঞতাও শ্রদ্ধার্ঘ্য।
চক্রবর্তী পরিবার নিঃসন্দেহে স্বাধীনতা সংগ্রাম, ন্যায়বিচার এবং মানবিকসেবার এক উজ্জ্বল প্রতীক। এইপরিবার মানব কল্যাণে নিঃস্বার্থদানও পরোপকারে একনিষ্ঠ ভাবে নিবেদিত প্রাণপথিকৃত। তাঁদের জীবনগাথা আগামী প্রজন্মের জন্য চিরন্তন প্রেরণার উৎসহয়ে থাকবে।
রিপোর্টার্স২৪/ধ্রুব
ফজর | ৩.৫৫ মিনিট ভোর |
---|---|
যোহর | ১১.৫৫ মিনিট দুপুর |
আছর | ৪.৩৩ টা বিকাল |
মাগরিব | ৬.৩২ টা সন্ধ্যা |
এশা | ৭.৫৫ মিনিট রাত |
জুম্মা | ১.৪০ মিনিট দুপুর |