ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকাজুড়ে গণহত্যামূলক যুদ্ধ চালাচ্ছে দখলদার ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী (আইডিএফ)। তুরস্কের সংসদ বুধবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এ যুদ্ধে ইসরায়েলের হয়ে অংশগ্রহণকারী তুর্কি নাগরিকদের নাগরিকত্ব বাতিল ও তাদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হবে। এ লক্ষ্যে একটি বিল উপস্থাপনের পরপরই পাস হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট মনিটর।
প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, জেকেরিয়া ইয়াপিসিওগ্লুর নেতৃত্বাধীন হুদা পার (ফ্রি কজ) পার্টি বিলটি প্রস্তাব করেছিল।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, যুদ্ধে প্রায় চার হাজার তুর্কি-ইসরায়েলি নাগরিকের অংশগ্রহণ নির্দেশ করে, তারা ফিলিস্তিনিদের লক্ষ্য করে ইসরায়েলি দখলদার সেনাবাহিনীর গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ডে অংশ নিয়েছে।
তিনি জানান, ইসরায়েলি দখলদার সেনাবাহিনীতে বাধ্যতামূলক পরিষেবা দেওয়া দ্বৈত নাগরিকদের প্রকৃত সংখ্যা আরো বেশি।
তিনি বলেন, ‘যারা যুদ্ধাপরাধে অংশ নেয় এবং তুরস্কে সাধারণভাবে জীবন কাটাতে ফিরে আসে, যেন তারা কিছুই করেনি, তাদের সম্পর্কে আমরা নীরব থাকতে পারি না।’
অন্যদিকে ফ্রি কজ পার্টির সদস্য সেরকান রামানলি বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, যে তুর্কি-ইসরায়েলি দ্বৈত নাগরিকরা ইসরায়েলি সেনাবাহিনীতে যোগদান ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ করে, তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেয়া উচিত এবং তাদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা উচিত। অতএব আমরা এই বিলটি উপস্থাপন করছি।’
তিনি আরো বলেন, ‘আন্তর্জাতিক চুক্তি অনুযায়ী, আমাদের সক্রিয়ভাবে গণহত্যা ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। কিন্তু বিচার মন্ত্রণালয় এখন পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।’
তিনি সংসদে প্রশ্ন রাখেন, ‘আমরা ৯ মাস ধরে অপেক্ষা করছি কেন?’