বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম ও সাংবাদিকদের অনুসন্ধানমূলক প্রতিবেদনের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদসহ কিছু কর্মকর্তার দুর্নীতি নিয়ে সম্প্রতি রিপোর্টের পর সংবাদ প্রকাশে সতর্ক থাকার বিষয়ে বিবৃতি দেয় বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন বিপিএসএ। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান জানতে চাওয়া হলে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বাংলাদেশের গণমাধ্যম ও গণমাধ্যমকর্মীদের স্বাধীন ভূমিকার সমর্থনে কথা বলেন।
সম্প্রতি গণমাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক ও বর্তমান সদস্যদের নিয়ে অনুসন্ধানমূলক ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এগুলোকে আংশিক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত দাবি করে বিবৃতি দেয় বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন-বিপিএসএ। আহ্বান জানানো হয় রিপোর্ট প্রকাশে আরও সতর্ক হওয়ার।
বিপিএসএ’র বিবৃতির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রতিবাদ জানায় সম্পাদকদের সংগঠন এডিটরস গিল্ড বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন ক্র্যাব। এবার বাংলাদেশের গণমাধ্যম ইস্যুতে নিজেদের অবস্থান জানালো যুক্তরাষ্ট্র।
সোমবার (২৪ জুন) মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে বিপিএসএ’র বিবৃতির বিষয়ে প্রশ্ন করা হয় মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলারকে। এ সময় তিনি বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম ও সাংবাদিকদের অনুসন্ধানমূলক প্রতিবেদনের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের কথা জানান।
ম্যাথিউ মিলার বলেন, কার্যকর গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান বজায় রাখতে এবং সরকারের স্বচ্ছতা প্রচারে মুক্ত ও স্বাধীন গণমাধ্যমের ভূমিকাকে আমরা দৃঢ়ভাবে সমর্থন করি। গুরুত্বপূর্ণ কাজ পরিচালনায় সাংবাদিকদের বাধা দেয়ার জন্য তাদের হয়রানি বা ভয় দেখানোর যেকোনো প্রচেষ্টায় আমরা আপত্তি জানাই।
বাংলাদেশের সাংবাদিকদের অনুসন্ধানমূলক কাজের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে বলেও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানান।
মুক্ত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের শান্তি, নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতা ইস্যুতে হাসিনা-মোদি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের বিষয়েও এদিন প্রশ্ন করা হয় ম্যাথিউ মিলারকে। জানতে চাওয়া হয়, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল নিয়ে দুই সরকারপ্রধানের দৃষ্টিভঙ্গি মার্কিন স্বার্থের প্রতিফলন ঘটায় কিনা?
জবাবে মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে সমর্থন করে যুক্তরাষ্ট্র।