২০২৪ সালের অর্থনৈতিকভাবে সবচেয়ে মুক্ত দেশ হিসাবে দক্ষিণ এশিয়ার দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে বাংলাদেশ। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক থিংক ট্যাংক হিসেবে পরিচিতি হেরিটেজ ফাউন্ডেশন এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪ সালের অর্থনৈতিকভাবে সবচেয়ে মুক্ত দেশ হিসেবে দক্ষিণ এশিয়ায় ভুটানের পরেই রয়েছে বাংলাদেশ। ভুটানের অর্থনৈতিক স্বাধীনতার সূচক একশোর মধ্যে ৫৫ দশমিক ৪, যা গত বছরও একই ছিলো। তখন বাংলাদেশ অবস্থান ছিলো ১২৩তম।
এদিকে অর্থনৈতিক স্বাধীনতার বৈশ্বিক সূচকে বাংলাদেশ সাত ধাপ এগিয়েছে । হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪ সালের বৈশ্বিক অর্থনৈতিক স্বাধীনতা সূচকে ১৭৬টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ সাত ধাপ এগিয়ে ১১৬তম স্থানে উঠে এসেছে।
বিশ্বের সবচেয়ে স্বাধীন অর্থনীতির দেশ হিসাবে এবার প্রথম অবস্থানে রয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার নগররাষ্ট্র সিঙ্গাপুর। দ্বিতীয় স্থানে আছে সুইজারল্যান্ড। আর এরপরই রয়েছে আয়ারল্যান্ড, তাইওয়ান ও লুক্সেমবার্গ।
উত্তর কোরিয়া, কিউবা, ভেনিজুয়েলা, সুদান ও জিম্বাবুয়ে রয়েছে তালিকার তলানিতে। এই দেশগুলোতে অর্থনৈতিক স্বাধীনতা সবচেয়ে কম।
হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অর্থনৈতিক স্বাধীনতার পক্ষের অন্তর্নিহিত ধারণা হচ্ছে, ব্যক্তির নিজস্ব চাহিদা ও আকাঙ্ক্ষাগুলো সম্পর্কে ভালোভাবে জানা। পাশাপাশি তাদের নিজস্ব জীবনধারা; যা সরকার বা টেকনোক্র্যাট অভিজাতদের বদলে ব্যক্তির নিজস্ব দর্শন ও অগ্রাধিকারে পরিচালিত হয়।
বাংলাদেশের অর্থনীতি ২০১০ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে ‘বেশিরভাগ অবাধ’ হিসাবে বিবেচিত হয়েছে হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের কাছে।
১৯৯৫ সালে চালু হয় অর্থনৈতিক স্বাধীনতা এই সূচক। মূলত চারটি নীতির বিস্তৃত বিশ্লেষণের ভিত্তিতে বিভিন্ন দেশকে মূল্যায়ন করা হয়। এগুলো হলো- আইনের শাসন, সরকারের আকার, নিয়ন্ত্রক দক্ষতা ও উন্মুক্ত বাজারে ব্যবস্থাপনা।
এছাড়া সম্পত্তির অধিকার, বিচারিক কার্যকারিতা, সরকারের সততা, করের বোঝা, সরকারি ব্যয়, রাজস্ব ব্যবস্থাপনা, ব্যবসা স্বাধীনতা, শ্রম স্বাধীনতা, আর্থিক স্বাধীনতা, বাণিজ্য স্বাধীনতা, বিনিয়োগের স্বাধীনতা ও আর্থিক স্বাধীনতা- এই ১২টি বিভাগও দেখা হয় মূল্যায়নের সময়। এই বিভাগগুলোর ফল যোগ করে প্রস্তুত করা হয় সামগ্রিক অর্থনৈতিক স্বাধীনতা স্কোর।