ত্রয়োদশ ওয়ানডে বিশ্বকাপে নিজেদের নবম ও শেষ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। এই ম্যাচ দিয়েই দীর্ঘ বর্ণিল বিশ্বকাপ যাত্রা শেষ হতে চলেছে টাইগারদের দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের।
শনিবার পুনেতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেই শেষ ম্যাচ খেলতে নেমেছেন মুশফিক-রিয়াদ। বিদায় বেলাতেও মাঠে নামার আগেও দলের অনুশীলনে সবচেয়ে সিরিয়াস ছিলেন তারাই।
এ ম্যাচটি শেষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকেও বিদায় বলে দিতে পারেন মাহমুদউল্লাহ। তাই পুনের অনুশীলনে কিছুটা সময় নিয়ে যান তিনি। বাকি সতীর্থরা যখন প্রস্তুতিতে ব্যস্ত, তখন নির্ভার সাইলেন্ট কিলার। দেড় যুগের ক্রিকেট ক্যারিয়ার তবে কী সূর্যাস্তের অপেক্ষায়।
পুনের নান্দনিক স্টেডিয়ামে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানাবেন এমন গুঞ্জন ডালাপালা মেলতে শুরু করেছে। মাহমুদউল্লাহ নিশ্চুপ, নিরব বিসিবিও। সত্য-মিথ্যা যাই হোক না কেন, অন্তত শেষ বিশ্বকাপ ম্যাচ এ নিয়ে কোনো ধোঁয়াশা নেই।
যে রিয়াদের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে থাকা সবচেয়ে বড় চমক ছিলো সেই তিনি ব্যাট হাতে সবার উপরে। এখন পর্যন্ত ৬ ইনিংসে করেছেন ২৯৬ রান। আর মুম্বাইয়ের সেঞ্চুরি যেন অজস্র সমালোচনার জবাব।
এমনিতেও বিশ্বকাপে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি তিন সেঞ্চুরির মালিক রিয়াদই। সবমিলিয় ২১ ইনিংসে তার ঝুলিতে ৯১২ রান। অ্যাডিলেডের সেই কাব্যিক ইনিংস যে এখনো জ্বলজ্বলে।
শেষ সূর্যাস্তের অপেক্ষায় মুশফিকুর রহিমও। এক প্রজন্ম থেকে অন্য প্রজন্মের কাছে যিনি মিস্টার ডিপেন্ডেবল। বৈশ্বিক আসরে ৩৬ ইনিংসে যার রান হাজারের উপর। ভারত বিশ্বকাপে নিজেকে হারিয়ে খুঁজেছেন মুশি। শুরুটা যতটা রঙিন ততটা বিবর্ণ মাঝের পথচলা। শেষটা রাঙাতে পুনের উইকেটে নিবেদনের কমতি রাখেননি এ উইকেটরক্ষক-ব্যাটার।