চলমান টি-২০ বিশ্বকাপের সুপার এইটে আফগানিস্তানের কাছে লজ্জার হার উপহার পেয়েছে বাংলাদেশ। এই হারে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছে টিম টাইগার্স। আফগানদের বিপক্ষে ম্যাচ হারের পর থেকেই সমালোচিত হচ্ছেন শান্ত-রিয়াদরা।
আগামী জুলাইয়ের শেষ দিকে ভারতের মাটিতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ খেলার কথা ছিল বাংলাদেশের। সফরটিতে তিনটি করে ওয়ানডে এবং টি-১০তে মুখোমুখি হওয়ার কথা ছিল দুদলের। তবে কন্ডিশন ও ক্রিকেটারদের ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টের কথা বিবেচনা করে সিরিজটি স্থগিত করতে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে (এসিবি) অনুরোধ জানিয়েছে বিসিবি। খবর ইএসপিএন ক্রিকইনফোর।
অনানুষ্ঠানিক সূচি অনুযায়ী, আগামী ২৫, ২৭ এবং ৩০ জুলাই হওয়ার কথা রয়েছে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের। এরপর ২, ৪ এবং ৬ আগস্টে টি-২০ সিরিজ খেলার সূচি জানানো হয়েছে বিসিবিকে। এমনটা জানানোর পরই বিসিবি সিরিজ স্থগিতের অনুরোধ জানিয়েছে।
বিসিবির মতে, ভারতের সেই সময়ের আবহাওয়া আন্তর্জাতিক সিরিজ খেলার জন্য উপযুক্ত নয়। জুন থেকে সেপ্টেম্বর বর্ষার মৌসুম হওয়ায় উপ মহাদেশে এই সময়টাকে অফ সিজন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কারণ এ সময়ে প্রচুর বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকে। কন্ডিশনের পাশাপাশি ক্রিকেটারদের ওয়ার্কলোডের কথাও মাথায় রাখছে বিসিবি।
বিশ্বকাপ থেকে দেশে ফেরার তিন সপ্তাহ পরই ভারতের বিমান ধরতে হবে সাকিব আল হাসান-নাজমুল হোসেন শান্তদের। সেখান থেকে ফিরে আগস্টের মাঝামাঝি সময়ে পাকিস্তান সফরে যাবে বাংলাদেশ। যেখানে দুটি ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবে তারা। পাকিস্তানের পর বাংলাদেশকে খেলতে হবে ভারতের বিপক্ষে। সেই সফরেও তিন টি-২০ পাশাপাশি দুটি টেস্ট খেলবেন সাকিবরা।
চলতি বছরে বাংলাদেশকে টেস্ট খেলতে হবে দক্ষিন আফ্রিকা এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। ডিসেম্বর পর্যন্ত টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের সাতটি ম্যাচ খেলতে হবে বাংলাদেশকে। লাল বলের ক্রিকেটের জন্য প্রস্তুতি হিসেবে চট্টগ্রাম ও সিলেটে তিনটি চারদিনের আন্তঃস্কোয়াড ম্যাচ খেলবেন মুমিনুল হকরা। যার ফলে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ খেললে লাল বলের অনেক ক্রিকেটারকে ভারতে খেলতে যেতে হবে।
এমনটা হলে ক্রিকেটারদের উপর চাপ বেড়ে যাবে। একই কারণে আফগানিস্তানের বিপক্ষে দুটি টেস্ট খেলতেও অনীহা দেখিয়েছে বিসিবি। সিরিজের মাসখানেক বাকি থাকলেও এখনও নিজেদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানায়নি এসিবি।