ডিসেম্বর ১৬, ২০২৩ ১০:৪১ পূর্বাহ্ণ
ইউক্রেন এবং মলদোভার সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)-এর সদস্যপদ নিয়ে আলোচনা শুরু করার এবং জর্জিয়াকে প্রার্থীর মর্যাদা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউরোপীয় নেতারা।
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) ব্রাসেলসে এক শীর্ষ সম্মেলনে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
ইইউ-এর এই সিদ্ধান্তকে তার দেশ এবং ইউরোপের ‘জয়’ হিসেবে স্বাগত জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লস মিশেলের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন চুক্তিটি সর্বসম্মত ছিল।
অনেকটা অপ্রত্যাশিতভাবেই নেতাদের এই ঐকমত্য হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, কয়েক সপ্তাহ ধরেই ইউক্রেনের ইইউ’য়ে যোগদান নিয়ে আলোচনা আটকে দেওয়ার হুমকি দিয়ে আসছিল হাঙ্গেরি। তবে শেষ পর্যন্ত তারা এই আলোচনা শুরু করার সিদ্ধান্তে ভেটো দেয়নি।
সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, ভোটাভুটির সময় হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান মুহূর্তের মধ্যেই কক্ষ ত্যাগ করেন। একে পূর্ব সম্মতি ও গঠনমূলক পদ্ধতি হিসেবে বর্ণনা করেছেন কর্মকর্তারা। এসময় বাকি ২৬ নেতা ভোট দিয়ে এগিয়ে যান।
তবে পরে ফেসবুকে প্রকাশিত এক ভিডিও বার্তায় অরবান বলেন, ‘ইউক্রেনের ইইউ সদস্যপদ একটি খারাপ সিদ্ধান্ত। হাঙ্গেরি এমন সিদ্ধান্তের অংশ হতে চায় না। তাই এটি আজকের এ সিদ্ধান্ত থেকে দূরে ছিল।’
বৃহস্পতিবার ব্রাসেলসে এবছরের শেষ ইইউ সম্মেলনের পর সভার চেয়ারম্যান চার্লস মাইকেল এক ঘোষণায় বলেন, ইউরোপীয় কাউন্সিল ইউক্রেন এবং মলদোভাকে সদস্যপদ দেওয়া নিয়ে আলোচনা শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জর্জিয়ারও সদস্যপদ প্রার্থীর মর্যাদা মঞ্জুর করা হচ্ছে। সেইসঙ্গে বসনিয়ার সদস্যপদ লাভের চেষ্টাও এগিয়ে নেয়া হবে- দেশটি এর জন্য প্রয়োজনীয় সব বৈশিষ্ট্য অর্জন করলেই তাদের আবেদন বিবেচনায় নেয়া হবে।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেনে পূর্ণ মাত্রায় আগ্রাসন শুরু করার পর ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগদানের জন্য আবেদন করেছিল ইউক্রেন ও মলদোভা। গত জুনে উভয় দেশকেই প্রার্থীর মর্যাদা দেওয়া হয়েছিল। জর্জিয়া সেই সময়ে পাস হয়েছিল।
ইউক্রেন এবং মলদোভার সঙ্গে ইইউতে যোগদানের আলোচনার পথ খোলার জন্য ইইউ-এর ‘ঐতিহাসিক’ এ পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান। একে ‘তাদের ইউরো-আটলান্টিক আকাঙ্ক্ষা পূরণে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ’ বলে অভিহিত করেছেন তিনি।
ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগদানের বিষয়ে আলোচনায় কয়েক বছর সময় লাগতে পারে। তাই বৃহস্পতিবারের এ সিদ্ধান্ত ইউক্রেনের সদস্যপদ নিশ্চিত করবে না।