নিজেদের ইতিহাসে আইসিসির মেগা ইভেন্টে (ওডিআই ও টি-২০ বিশ্বকাপ) কখনোই ফাইনাল খেলতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। এজন্য তাদের কপালে জুটেছিল লজ্জাজনক ‘চোকার্স’ তকমা। অবশেষে সেই আক্ষেপ ঘুচে অষ্টমবারের প্রচেষ্টায় ইতিহাস গড়ে আইসিসির ইভেন্টে শিরোপার মঞ্চে জায়গা নিশ্চিত করেছে প্রোটিয়ারা।
নবম টি-২০ বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালে আফগানিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ম্যাচটিতে আগুনে বোলিংয়ে আফগানদের অল্পতেই আটকে দেয় প্রোটিয়ারা। এতে প্রথম ইনিংস শেষেই তাদের ফাইনাল যাত্রা অনেকটা নিশ্চিত হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত হয়েছেও তাই।
ত্রিনিদাদের ব্রায়ান লারা স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ১১.৫ ওভারে ৫৬ রানেই গুটিয়ে যায় আফগানিস্তান। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৯ উইকেট হাতে রেখে জয়ের বন্দরে নোঙর করে দক্ষিণ আফ্রিকা। এর মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের ফাইনালে পা রাখলো এইডেন মার্করামের দল।
লক্ষ্য তাড়ায় দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে যথারীতি ইনিংস উদ্বোধনে নামেন রেজা হেনড্রিকস ও কুইন্টন ডি কক। তবে ভয়ংকর হয়ে ওঠার আগেই এ জুটি ভাঙেন ফজলহক ফারুকী।
ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে ডি কককে বোল্ড করেন ফারুকী। তার বিদায়ের পর উইকেটে আসেন প্রোটিয়া দলপতি এইডেন মার্করাম। তাকে সঙ্গে নিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন রেজা। রেজা ২৯ ও ২৩ রানে অপরাজিত ছিলেন মার্করাম।
আফগানিস্তানের হয়ে একটি মাত্র উইকেট নেন ফজলহক ফারুকী।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন আফগানিস্তান অধিনায়ক রশিদ খান। দলটির হয়ে যথারীতি ইনিংস উদ্বোধনে নামেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান।
ইনিংসের প্রথম ওভারেই এ জুটিতে আঘাত হানেন মার্কো জানসেন। এতে রানের খাতা খোলার আগেই স্লিপে রেজার তালুবন্দী হয়ে সাজঘরে ফেরেন আফগান ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ।
এরপর শুধু আসা যাওয়ার মিছিলে যোগ দেন আফগান ব্যাটাররা। গুলবাদিন নাইব, ইব্রাহিম জাদরান, মোহাম্মদ নবি কিংবা করিম জানাতরা দলের হাল ধরতে ব্যর্থ হয়েছেন। আগে ব্যাট করতে নেমে নয় আফগানি ব্যাটার দুই অঙ্কের ঘর স্পর্শ করতে ব্যর্থ হয়েছেন। শুধুমাত্র ১০ রান করেছেন আজমতউল্লাহ।
এদিন দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি করে উইকেট নেন তাবরাইজ শামসি ও মার্কো জানসেন। এছাড়া দুটি করে উইকেট নেন আনরিখ নরকিয়া ও কাগিসো রাবাদা।