‘ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর’। কথাটি দেশি বিদেশি সিগারেটের প্রতিটি প্যাকেটের গায়েই লেখা থাকে। তবুও মানুষ ধূমপান করে!
ধূমপানে অ্যাসিটোন, টার, নিকোটিন, কার্বন-মনোক্সাইড এর মতো ক্ষতিকর পদার্থ থাকে। যা আমাদের ফুসফুস এবং শরীরের অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ক্ষতি করে।
উল্লেখ্য, যেকোনো সময় যেকোনো অবস্থাতেই ধূমপান শরীরের জন্য ক্ষতিকর। প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যেভাবেই হোক না কেন ধূমপানের ক্ষতিকারক প্রভাব থাকে। তাই সর্বক্ষেত্রে ধূমপান বর্জনীয় ও ক্ষেত্র বিশেষে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
যারা ধূমপানে আসক্ত তাদের জন্য রোজার মাস উপযুক্ত সময় এই আসক্তি থেকে রেহাই পাবার। এছাড়া যারা ইফতারের পরপরই ধূমপান করেন তাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। কারণ ধূমপান পাকস্থলীর হাইড্রোক্লোরিক এসিডের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়। ফলে গ্যাসট্রাইটিস বা পাকস্থলিতে প্রদাহ তৈরি হয়।
এছাড়া ধূমপানের ফলে ফুসফুসের প্রদাহসহ নানাবিধ শারীরিক সমস্যার ঝুঁকি বেড়ে যায়। সারাদিন রোজা রেখে ইফতারের পরপরই ধূমপান করা পবিত্র মাহে রমজানের মূলনীতি বিরুদ্ধ ও শরীরের জন্যও ক্ষতিকর।
বিষয়টি নিয়ে বেসরকারি গণমাধ্যমে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও মনোসামাজিক স্বাস্থ্য গবেষক এবং পরিচালক, সেন্টার ফর সাইকোট্রমাটোলজি অ্যান্ড রিসার্চের চিকিৎসক ডা. রিফাত আল মাজিদ (এমবিবিএস, এমপিএইচ) জানান, এ অভ্যাস স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দেয়।
তাই রোজার মাসে সর্বোচ্চ চেষ্টা ও প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকা উচিত ধূমপান ত্যাগ করার। রোজার পবিত্রতা রক্ষায় ও শারীরিক সুস্থতার জন্য ধূমপান ত্যাগ করা খুবই জরুরি। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ ও কাউন্সিলিং নেওয়া যেতে পারে।