দেশের গোপন তথ্য পাচার করাসহ বেশ কয়েকটি মামলায় কারাভোগ করছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) এর প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান। যা নিয়ে দেশটিতে চলছে চাপা উত্তেজনা। এ অবস্থায় ইমরান খান ইস্যুর ইতিবাচক সমাধানের আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক।
গত বছরের আগস্ট থেকে কারাগারে রয়েছেন ইমরান খান। ফেব্রুয়ারিতে একটি জাতীয় নির্বাচনের আগে কিছু মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয় তাকে। সাম্প্রতিক সময়ে রাষ্ট্রীয় উপহারের অবৈধ অধিগ্রহণ ও বিক্রয়ের সাথে জড়িত দুটি মামলায় ইমরান খানের কারাদণ্ড স্থগিত করেছে আদালত। এছাড়াও রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা ফাঁস করার অভিযোগে তার দোষী সাব্যস্ততা বাতিল করেছে। এ ব্যাপারে অবশ্য পিটিআইয়ের অনন্য রাজনীতিবিদরা বরাবরই বলে আসছে তাদের দলকে ব্যর্থ করার জন্য রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে ইমরান খানকে জেল হাজতে রাখা হয়েছে।
পাকিস্তানে নির্বিচারে আটকের বিষয়ে জেনেভা-ভিত্তিক জাতিসংঘের একটি গ্রুপ বলেছে, ‘এর একটি উপযুক্ত প্রতিকার হবে মিঃ খানকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়া এবং আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে তাকে ক্ষতিপূরণ এবং অন্যান্য ক্ষতিপূরণের একটি কার্যকর অধিকার প্রদান করা।’
পাকিস্তানের আইনমন্ত্রী আজম নাজির তারা অবশ্য জাতিসংঘের প্রতিবেদনকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। খানের গ্রেফতার এবং তার বিরুদ্ধে মামলাগুলিকে পাকিস্তানের ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়’ বলে অভিহিত করেছেন তিনি।
এ বিষয়ে মঙ্গলবার জারি করা এক বিবৃতিতে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের সংবিধান, আইন এবং আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী পিটিআই প্রতিষ্ঠাতার সমস্ত অধিকার রয়েছে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী একজন সাজাপ্রাপ্ত বন্দী হিসাবে কারাগারে রয়েছেন। আর একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে, সংবিধান এবং বিদ্যমান আইনগুলি পাকিস্তানের আদালত দ্বারা প্রয়োগ করা হয়।’