ইলিয়াস কাঞ্চনের অনিয়ম নিয়ে কথা বললেন রুবেল

ইলিয়াস কাঞ্চনের অনিয়ম নিয়ে কথা বললেন রুবেল

বিনোদন

মার্চ ৩১, ২০২৪ ৯:৪৫ পূর্বাহ্ণ

২০২২ সালে শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি পদে জয়ী হয়েছিলেন ঢালিউডের বরেণ্য অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন। তবে বিগত দুই বছরে কম সমালোচনার মুখে পড়তে হয়নি তার কমিটিকে। ইলিয়াস কাঞ্চন মনে করেন, কমিটির নির্বাচিত সদস্যদের অসহযোগিতার কারণেই বিতর্কের মুখে পড়তে হয়েছে। যে কারণে মনে কষ্ট রয়ে গেছে এই অভিনেতার। ক্ষোভ ও দুঃখ নিয়ে শিল্পী সমিতি থেকে বিদায় নেন তিনি।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তার কমিটির সহ-সভাপতি রুবেল প্রসঙ্গে বলেছিলেন, রুবেলের আমার এখানে আসা উচিত ছিল। রুবেল আমার বন্ধুর ছোট ভাই। কিন্তু ও আসেনি।

তবে এ প্রসঙ্গে রুবেল বললেন ভিন্ন কথা। মুখ খুলেছেন ইলিয়াস কাঞ্চনের অনিয়ম প্রসঙ্গে। ছুড়ে দিলেন প্রশ্ন। সম্প্রতি ইফতারের পর মিশা-ডিপজলের নিয়মিত ইফতার আয়োজনে উপস্থিত হয়ে কথার পরিপ্রেক্ষিতে ইলিয়াস কাঞ্চনের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান রেখে তিনি বলেন, কাঞ্চন ভাই শতভাগ রাইট। কিন্তু আমি যদি অন্যদিকে তাকে ছোট একটি প্রশ্ন করতে চাই যে, কোন দিন কি এজিএস কিংবা আপনি ফোন দিয়ে জানতে চেয়েছেন না আসার কারণ। আর কোনদিন আপনি আমাকে আসার জন্য বলেছেন? কেউ আমাকে আসার জন্য ফোন দেননি। তারা আমাকে সরাসরি চিঠি পাঠিয়েছেন। যেখানে তিনবার চিঠি পাঠানোর নিয়ম সেখানে একবার চিঠি পাঠানো হয়।

যোগ করে রুবেল বলেন, অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্যি আমি বিগত সময় শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এবং একাধারে ১২বার ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক ছিলাম। আমি যতটুকু জানি যদি কাউকে বাদ দিতে হয় তাহলে ঘরোয়াভাবে মিটিং করে বাদ দিতে হবে। সেখানে আপনি (ইলিয়াস কাঞ্চন) বিশাল ভাবে সংবাদ সম্মেলন করে আমাকে ও সুচরিতাকে বাদ দিয়েছিলেন। এটা কি খুব সম্মানজনক কাজ করেছিলেন?

৩০ বছরের ক্যারিয়ারে এটা কি আপনাদের কাছে আমার প্রাপ্য? আমাকে বাদ দেওয়ার কথাটি ছোট ভাই সাইমনের মুখ দিয়ে বলিয়ে দিলেন। সেটি কি ঠিক কাজ করেছিলেন? এটি আপনার কাছে আমার প্রশ্ন। তারপরও আমি কোন জায়গায় এসব ব্যাপারে কখনো কিছু বলিনি। চুপ করে সব সহ্য করেছি। দুই বছর এফডিসি আসিনি। এখন যেহেতু তিনি এ নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তাই বলতে বাধ্য হয়েছি। এত বছরের ক্যারিয়ারে একটু সম্মান পেতেই পারি।

এসময় রুবেল শিল্পীদের অনুরোধ করে বলেন, দয়া করে কেউ দুই নৌকায় পা দিবেন না। কথাটি খারাপ শোনালেও বলতে হয় আমরা অনেকেই দুই নৌকায় পা দেওয়া পছন্দ করি। তাদের কাছে অনুরোধ আপনারা দুই নৌকায় পা দিবেন না। এর জন্য আপনাকে আল্লার কাছে জবাব দিতে হবে। আপনি জন্মের পর মৃত্যুর তারিখ নির্ধারিত হয়ে আছে। যে যোগ্য এবং আপনার পছন্দ তাকে ভোট দিন। কিন্তু আজ এখানে কাল ওখানে এসব করবেন না। ব্যক্তিগত পছন্দ থাকতেই পারে। তবে সব জায়গায় তাল দেয়া ঠিক না।

প্রসঙ্গত, আসছে ১৯ এপ্রিল বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদের নির্বাচন। এবারের নির্বাচনে দুটি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বী করবে। একটি মিশা সওদাগর ও মনোয়ার হোসেন ডিপজল। অন্যটি মাহমুদ কলি ও নিপুণ আক্তার। মিশা-ডিপজল প্যানেল প্রচারণায় সরব থাকলেও কলি-নিপুণকে সেভাবে মাঠে দেখা যাচ্ছে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *