ইসরাইলকে টোকা মারলে ইরানকে গুঁড়িয়ে দেওয়ার হুমকি যুক্তরাষ্ট্রের

ইসরাইলকে টোকা মারলে ইরানকে গুঁড়িয়ে দেওয়ার হুমকি যুক্তরাষ্ট্রের

আন্তর্জাতিক

নভেম্বর ৭, ২০২৩ ১২:০৭ অপরাহ্ণ

ইরান ও মুক্তিকামী সংগঠন হিজবুল্লাহকে কড়া সতর্কবার্তা পাঠিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। হুমকিটা এমন যে, ইসরাইলের গায়ে টোকা মারলে ইরান গুঁড়িয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্র। অর্থাৎ বন্ধু ইসরাইল আক্রান্ত হলে যে কোনো ধরনের সামরিক হস্তক্ষেপে প্রস্তুত তারা।

এর আগে হোয়াইট হাউজ থেকেও একই রকম হুঁশিয়ারি দেওয়া হয় ইরান ও হিজবুল্লাহকে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোকে নতুন করে আবারও এই হুঁশিয়ারির দিনই মধ্যপ্রাচ্যে পারমাণবিক সাবমেরিন পাঠাল যুক্তরাষ্ট্র।

এদিনই এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সামরিক বাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ড। বলা হয়েছে, ওহাইও-শ্রেণির একটি সাবমেরিন ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ডের দায়িরত এলাকায় পৌঁছেছে।

ইরানের প্রতি সতর্কবার্তায় ব্লিঙ্কেন বলছেন, ‘গাজা সংঘাতের সুবিধা যারা নিতে চাইবে তাদের জন্য একটি বার্তা পাঠানো খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এখানে অথবা অন্য কোনো অঞ্চলে আমাদের কর্মীদের হুমকি দিতে এই সংঘাতকে ব্যবহার করবেন না।’

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও সম্প্রতি এ বিষয়ে একটি সতর্কবার্তা জারি করেছিলেন। ‘মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সৈন্যদের আক্রমণ করা হলে তার জবাব দেওয়া হবে’ বলে জানিয়েছিলেন তিনি।

বিশ্লেষকদের মতে, এই সংকটজনক পরিস্থিতিতে গাজায় সাবমেরিন পাঠানো ইরান ও তার সমর্থক দেশগুলোর জন্য প্রতিরোধের বার্তাস্বরূপ হতে পারে। এর আগে ইসরাইলকে সহায়তায় দুটি বিমানবাহী রণতরি ইউএসএস জেরার্ল্ড আর ফোর্ড ও ইউএসএস আইজেনহাওয়ার পূর্ব ভূমধ্যসাগরে পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে ওহাইও-শ্রেণির সাবমেরিন অবস্থান ঘোষণা করা যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বিরল ঘটনা। মার্কিন কমান্ডের ঘোষণায় সাবমেরিনটির নির্দিষ্ট অবস্থান জানানো হয়নি। তবে প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে, এটি মিসরের সুয়েজ খাল ব্রিজের কাছে অবস্থান করছে। এই শ্রেণির সাবমেরিনগুলো পারমাণবিক শক্তিচালিত ও অনেক পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম। ইসরাইল-হামাস যুদ্ধের পর হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরাল্লাহ তার প্রথম বক্তৃতায় বলেছিলেন, তার দল মার্কিন যুদ্ধজাহাজকে ভয় পায় না। হিজবুল্লাহ বাহিনী যে কোনো কিছুর জন্য প্রস্তুত রয়েছে বলেও সতর্ক করেছিলেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *