এপ্রিল ১৫, ২০২৪ ৯:০৮ পূর্বাহ্ণ
ইসরায়েলি ভূখণ্ডে ইরানের সরাসরি হামলার প্রতি পূর্ণ সমর্থন প্রকাশ করেছে মুক্তিকামী ফিলিস্তিনিদের সশস্ত্র সংগঠন হামাস। এক বিবৃতিতে তারা জানায়, এই হামলা চালানোর পূর্ণ অধিকার ইরানের ছিল।
হামাস বলেয়, ‘আমরা বিশ্বাস করি জায়নবাদী ইসরায়েলে দামস্কে ইরানি কনস্যুলেটে যে হামলা চালিয়েছিল তার প্রেক্ষিতে ইরানের সামরিক চালানো বৈধ ও স্বাভাবিক।’
বিবৃতিতে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিতে সব আরব, মুসলিম ও স্বাধীন জনগণের সমর্থন চেয়েছে হামাস।
রোববার ভোরে সরাসরি ইসরায়েলের ওপর হামলা শুরু করে ইরান। নজিরবিহীন এ হামলায় ইসরায়েলজুড়ে ব্যাপক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটছে। তিন শতাধিক ড্রোন ও রকেট নিক্ষেপ করেছে ইরান। হামলা হয়েছে ইরাক ও ইয়েমেন থেকেও। জেরুজালেম ও তেলআবিবসহ পুরো ইসরায়েলজুড়ে বেজেছে বিমান হামলার সাইরেন।
ইরানের হামলার ‘সমুচিত জবাব’ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল। এরই মধ্যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় বসেছে দেশটির যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালালে পরিস্থিতি আসলেই অনেক গুরুতর হয়ে উঠবে। সবচেয়ে বেশি সম্ভাবনা রয়েছে, ইরানের যে ঘাঁটি থেকে হামলা চালানো হয়েছে সেখানে হামলা করা। তবে ইসরায়েল হয়তো আরো একধাপ বেশি এগোতে পারে। তারা ইরানের সামরিক ঘাঁটি এবং বিপ্লবী গার্ড কোরের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রেও হামলা চালাতে পারে।
আর এমনটা হলে নিঃসন্দেহে ইরানও পাল্টা হামলা চালাবে। তেমনটাই ঘোষণা দিয়েছে তারা। ইরান সতর্ক করে বলেছে, ইসরায়েল যদি হামলার কোনো জবাব দেওয়ার চেষ্টা করে তাহলে পরবর্তীতে আরো বড় পদক্ষেপ নেবে তারা। ইরানের সামরিক বাহিনীর চিফ অব স্টাফ মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরি বলেছেন, ইসরায়েল পাল্টা কিছু করার চেষ্টা করলে রাতভর বোমাবর্ষণের চেয়েও বড় কিছু হবে।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি ভূখণ্ডে হামাসের হামলাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে মধ্যপ্রাচ্যে। এবার আগের তুলনায় সারাবিশ্ব উত্তেজনার একটা বিপজ্জনক সন্ধিক্ষণে রয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের সরকারগুলোও অপেক্ষা করে আছে ইসরায়েল কী করে সেটা দেখার জন্য, যার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছে।