উন্নত জীবনের আশায় দেশ ছাড়তে চান ৪০ শতাংশ পাকিস্তানি

উন্নত জীবনের আশায় দেশ ছাড়তে চান ৪০ শতাংশ পাকিস্তানি

আন্তর্জাতিক

নভেম্বর ১৭, ২০২৪ ৫:৩৮ পূর্বাহ্ণ

পাকিস্তানের ৪০ শতাংশ মানুষ উন্নত জীবনের আশায় মাতৃভূমিতে থাকতে চাচ্ছেন না। বৃহস্পতিবার দেশটির ন্যাশনাল কমিশন ফর হিউম্যান রাইটস (এনসিএইচআর) প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়েছে, ইউরোপে সবচেয়ে বেশি অবৈধ অভিবাসীদের জন্য দায়ী দেশগুলো তালিকায় পঞ্চম স্থানে উঠে এসেছে পাকিস্তান।

গবেষণায় কিছু তথ্যের দিকে ইঙ্গিত করে বলা হয়েছে, প্রায় ৪০ ভাগ পাকিস্তানি অর্থনৈতিক অসুবিধা, রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, শিক্ষার সুযোগের অভাব, কর্মসংস্থানের অভাব, মুদ্রাস্ফীতি এবং সন্ত্রাসবাদের কারণে দেশ ছাড়তে চায়।

ডেনমার্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) সহায়তায় করাচিতে এক অনুষ্ঠানে গবেষণার এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।

শুক্রবার (১৬ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।

এনসিএইচআর চেয়ারপারসন রাবিয়া জাভেরি আগা বলেন, অবৈধ পথে গুরুতর অসুবিধা এবং জীবনের ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও অবৈধ অভিবাসন বাড়ছে।

অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে আগা বলেন, গ্রীক উপকূলে ৩০০ জনেরও বেশি পাকিস্তানি নিহত হওয়ার পর এই প্রবণতা রোধে শক্তিশালী আইন প্রণয়ন ও অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণের পর পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে।

অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে, পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) সিনেটর কারাতুল আইন মারি বলেছেন, এ গবেষণা গুরুতর সমস্যার ইঙ্গিত।

তিনি বলেন, এই গবেষণা আমাদের অভ্যন্তরীণ সমস্যা এবং চ্যালেঞ্জগুলো নির্দেশ করে যেগুলো সমাধানের জন্য একটি সমন্বিত এবং কার্যকর কৌশল প্রয়োজন, সিনেট মানবাধিকার কমিটি এই সমস্যাগুলির সমাধানে সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে”।

গবেষণায় বলা হয়েছে, ২০২২ সালে পাকিস্তান ইউরোপে অবৈধ অভিবাসনের জন্য শীর্ষ দশ দেশের মধ্যেও ছিল না। কিন্তু ২০২৩ সালের মাঝামাঝি, দেশটি অবৈধ অভিবাসনের জন্য পঞ্চম বৃহত্তম দেশ হয়ে উঠেছে। শুধুমাত্র এ সময়ে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে, ৮ হাজার ৭৭৮ জন অবৈধভাবে ইউরোপে পাড়ি দিয়েছে।

পাকিস্তানি অভিবাসীরা বেশিরভাগই দুবাই, মিশর এবং লিবিয়া হয়ে ইউরোপে যাওয়ার পথ ব্যবহার করে। এতে বলা হয়েছে যে এই পথ দিয়ে ২০২৩ সালের প্রথমার্ধে প্রায় ১৩ হাজার পাকিস্তানি ইউরোপে পৌঁছেছিল এবং তাদের মধ্যে প্রায় ১০ হাজার জন আর ফিরেনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *