আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ভারত বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের খেলা; একাত্তরেও এই খেলা চলেছিল। এই অশুভ খেলায় একাত্তরের মতো ভারতসহ কিছু বন্ধু এবারও আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ভারত আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। দুঃসময়ে, একাত্তরে পাশে দাঁড়িয়েছে। এই অশুভ খেলায় একাত্তরের মতো ভারতসহ কিছু বন্ধু এবারও আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। এটা হলো ভারতের অপরাধ। সে ভারতীয় পণ্য বর্জন করতে বলে। রাজনীতির এই নোংরা খেলা পাকিস্তান আমলে বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে যে অশুভ খেলা—ভারত বিরোধিতা, ঠিক একই অশুভ খেলা আবার শুরু হয়েছে। সব কিছু হারিয়ে বিএনপি এখন ভারত বিরোধিতায় নেমেছে। অ্যান্টি ইন্ডিয়া ক্যাম্পেইন।
তিনি বলেন,ভারতীয় পণ্য যারা বর্জন করতে বলে, তাদের রান্না ঘরে, তাদের ড্রেসিং রুমে, তাদের শোবার ঘরে ভারত। এটা হলো বাস্তবতা।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দল ফ্রি স্টাইল নয়। কারো দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্যের দায় দল নেবে না। এক্ষেত্রে দল সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেবে।’
তিনি বলেন, সাংগঠনিক প্রক্রিয়ায় যেসব দেয়াল আছে সেসব ভেঙে দিতে হবে। উপজেলা নির্বাচন উন্মুক্ত করে দিয়ে দল দেখতে চায় কতটুকু প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়। কোনো মন্ত্রী এমপির অন্যায্য প্রভাব বরদাশত করা হবে না। নির্বাচন সম্পূর্ণভাবে সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চায় দল। কোন বাধা মেনে নেওয়া হবে না।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, জাতীয় নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নির্বাচন নিয়ে মানুষের ভয় কেটে গেছে। বিএনপি কী বলল না বলল এটা বিচার করে দেশের রাজনীতি চলবে না। তারা নির্বাচনে না গেলেও ৪২ শতাংশ মানুষ ভোট দিয়েছে। বিদেশিরাও এ বাস্তবতা বুঝতে পেরে সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করছে।
আওয়ামী লীগ ও সরকার সঠিক পথে আছে। এই মুহূর্তে বাংলাদেশের সার্বিক অবস্থা স্থিতিশীল। দেশবাসীর বিভ্রান্ত হওয়ার কারণ নেই বলেও উল্লেখ করেন ওবায়দুল কাদের।