ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২৪ ৯:৪০ পূর্বাহ্ণ
একুশ মানে মাথা নত না করা। একুশ মানে এগিয়ে যাওয়া। একুশের এই শক্তিতে বলীয়ান হয়েই আমরা এগিয়ে যাই। শুধু ভাষার এ মাসে নয়, একুশ আমাদের শক্তি জোগায় সারা বছর। বাংলাদেশ ও বাংলা ভাষাকে নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা দেয়।
ভাষা আন্দোলনের ৭২ বছর পূর্তিতে এই আনন্দলগ্নে একুশের চেতনা আজ ছড়িয়ে যাচ্ছে চারিদিকে। যাকে ধারণ করে বাংলার চর্চা বেড়েছে অনেকখানি।
রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সূতিকাগার। বাংলাদেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের উন্নতি ও অগ্রগতির এ যাত্রায় আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ যেমন প্রেরণা জোগায়, ঠিক একইভাবে প্রেরণা দেয় আমাদের ভাষা। কারণ আমরাই সেই জাতি, যারা ভাষার জন্য প্রাণ দিয়েছি। আর এর স্বীকৃতিস্বরূপ সারা বিশ্বে একুশে ফেব্র“য়ারি এখন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসাবে পালিত হয়। এটি বাংলা ভাষা ও বাংলাদেশের গর্ব।
মাতৃভাষার প্রতি আমাদের এই দরদ ফেব্রুয়ারিতে এসে আরও বেড়ে যায়। কারণ আমরা এই সময়ে এসে ১৯৫২ সালের একুশের স্মৃতি স্মরণ করি। স্মরণ করি আমাদের সেই সব অকুতোভয় সংগ্রামীকে, যারা ভাষার জন্য রাজপথে নেমেছিলেন, প্রাণ দিয়েছিলেন। বাংলা ভাষার প্রতিও আমাদের তৈরি হয় অন্যরকম এক মমত্ববোধ। যার প্রকাশ ঘটে ফেব্রুয়ারির নানা আয়োজনে।
বিশ্ববাসীর মতো বাংলাদেশিরাও এখন প্রযুক্তির বিশ্বে বসবাস করছে। সোশ্যাল মিডিয়া, ইন্টারনেটে সারাক্ষণ আমাদের বিচরণ। এই সময়ে এসে আমরা কি ইংরেজির প্রতি আরও অনুরক্ত হয়ে পড়ছি? মোটেই না। বরং দিনে দিনে আমরা আমাদের মাতৃভাষা বাংলা চর্চায় আরও নিবেদিতপ্রাণ হয়ে উঠছি। এর উদাহরণ পাওয়া যায় ফেসবুকে লাখো লাখো বাঙালির নানা পোস্ট ও স্ট্যাটাস দেখেই।
লক্ষ্য করলে দেখতে পাই, বছর কয়েক আগেও যেখানে ইংরেজিতে মানুষ মনের ভাব ফেসবুকে প্রকাশ করত, এখন বেশিরভাগ মানুষ বাংলা অক্ষর ও বাংলা ভাষা ব্যবহার করেই তার দুঃখ-সুখের প্রকাশ করছেন। এটা যে শুধু বাংলাদেশে বসবাসকারীরা করছেন, তা কিন্তু নয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যেখানেই বাংলাভাষী মানুষ রয়েছেন, তারাও এখন বাংলায় লিখে তাদের ভাবের প্রকাশ ঘটাচ্ছেন, বিনিময় করছেন। তাই চারিদিকে বাংলা ভাষার জয়যাত্রা চলছে। দাপ্তরিক বেশিরভাগ কাজ এখন বাংলায় হয়। সর্বস্তরে বাংলার যে প্রচলন, তা কিছুটা হলেও এগিয়েছে।