সেপ্টেম্বর ২, ২০২৩ ৪:৩৮ অপরাহ্ণ
দেশের প্রথম উড়ালসড়ক (এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে) উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। শনিবার বিকেলে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের উত্তরা থেকে ফার্মগেট অংশ পর্যন্ত উদ্বোধন করেন তিনি। এর ফলে মাত্র ১০ মিনিটে বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট পৌঁছাতে পারবেন যাত্রীরা।
আগামীকাল রোববার থেকে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে।
প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পিপিপি নামের প্রকল্পটি ২০১১ সালে হাতে নেয়া হয়। প্রকল্পটির দৈর্ঘ্য ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০২০ সালের ১ ডিসেম্বর। পুরোপুরি কাজ শেষ না হলেও আপাতত বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট অংশ খুলে দেওয়া হচ্ছে। প্রকল্পের নির্মাণ শেষ হবে ২০২৪ সালের ৩০ জুন।
আরও পড়ুন: এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে কিভাবে উঠবেন-নামবেন, খরচ কত
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে কাওলা থেকে রেললাইন ধরে তেজগাঁও, মগবাজার, কমলাপুর হয়ে যাত্রাবাড়ীর কাছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালীতে গিয়ে শেষ হবে। উড়ালসড়কে ওঠানামার জন্য মোট ২৭ কিলোমিটার দীর্ঘ ৩১টি র্যাম্প রয়েছে। র্যাম্পসহ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মোট দৈর্ঘ্য ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার।
‘ফার্স্ট ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে’ নামক প্রতিষ্ঠান প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা। এর মধ্যে দুই হাজার ৪১৩ কোটি টাকা বা ২৭ শতাংশ বহন করবে বাংলাদেশ সরকার। বাকি অর্থের জোগান দেবে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান। সরকারের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী ২৫ বছরের চুক্তির মধ্যে সাড়ে ২১ বছর টোল আদায় করবে বিনিয়োগাকরী প্রতিষ্ঠান।
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে যাতায়াত করতে মানতে হবে বেশ কিছু নির্দেশনা। সেতু বিভাগ এক গণবিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ঢাকা উড়ালসড়কে মোটরসাইকেলসহ দুই ও তিন চাকার যানবাহন চলাচল করতে পারবে না। গাড়ি নিয়ে গিয়ে উড়ালসড়কে দাঁড়ানো ও যানবাহন থেকে নেমে দাঁড়িয়ে ছবি তোলা সম্পূর্ণ নিষেধ।
এক্সপ্রেসওয়েতে চলতে হলে গাড়িভেদে নির্দিষ্ট অংকের টোল পরিশোধ করতে হবে। কার, ট্যাক্সি, স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিক্যাল, মাইক্রোবাস (১৬ সিটের কম) এবং হালকা ট্রাকের (৩ টনের কম) জন্য টোল দিতে হবে ৮০ টাকা। মাঝারি ট্রাক (৬ চাকা পর্যন্ত) ৩২০ টাকা, ৬ চাকার বেশির ট্রাক ৪০০ টাকা এবং সব ধরনের বাসের (১৬ সিট বা তার বেশি) জন্য টোল ১৬০ টাকা।