নভেম্বর ১১, ২০২৩ ৯:২৩ পূর্বাহ্ণ
আজ সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। যুগ যুগ অপেক্ষার পর অবশেষে স্বপ্নের দুয়ার খুলে যাচ্ছে কক্সবাজারবাসীর। বহুল প্রতিক্ষীত ১০২ কিলোমিটার দীর্ঘ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন শনিবার (১১ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরমধ্য দিয়ে চট্টগ্রাম হয়ে সারাদেশের সঙ্গে রেলপথে সংযুক্ত হবে কক্সবাজার। এ ছাড়াও একই দিনে বহুল আলোচিত মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দরসহ কক্সবাজারে আরো ১৬টি প্রকল্প উদ্বোধন করবেন তিনি।
সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, এখানকার পর্যটনশিল্প ও অর্থনীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে। সৃষ্টি হবে বহু মানুষের কর্মসংস্থান। পাল্টে যাবে এই অঞ্চলের মানুষের জীবনমান। এছাড়াও দূর-দূরান্ত থেকে কক্সবাজারে ভ্রমণে আসা পর্যটকদের ভোগান্তি ও যাতায়াত খরচ অনেকটা কমে যাবে।
শনিবার সকালে কক্সবাজারে প্রধানমন্ত্রীর যাত্রা শুরু হবে ঝিনুক আকৃতির আইকনিক রেলস্টেশনের উদ্বোধন দিয়ে। এরপর টিকিট কিনে তিনি ট্রেনে চড়ে রামু জংশন পর্যন্ত যাবেন। সেখানে বিকেলে মাতারবাড়ির টাউনশিপ মাঠে বিশাল জনসভায় প্রধান অতিথির ভাষণ দেবেন। দলীয় প্রধানকে বরণে ব্যস্ত সময় পার করছে আওয়ামী লীগের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
কক্সবাজারে স্বপ্নের দ্বার খুলছে আজ
নবনির্মিত দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন ও নান্দনিক আইকনিক রেলস্টেশন উদ্বোধনের পর নতুন এই সিঙ্গেল লাইন ডুয়েল গেজ রেলপথ ধরে ট্রেন ঢাকা থেকে সরাসরি চট্টগ্রামের দোহাজারী ও রামু হয়ে কক্সবাজার যাওয়া যাবে।
ব্যবসায়ী আবুল মোনায়েম বলেন, কক্সবাজারের সবজি, মাছ ও অন্যান্য পণ্য সহজেই কম খরচে বহন করা গেলে এখানকার ব্যবসায় অনেক পরিবর্তন আসবে। ট্রেন দিয়ে মালামাল পরিবহন খুবই সুবিধা।
রেললাইন ও স্টেশন ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী আরো কয়েকটি প্রকল্প উদ্বোধন করবেন। এরমধ্যে রেললাইন প্রকল্পে ১৮ হাজার ৩৪ কোটি টাকা, মাতারবাড়ি সমুদ্র বন্দর চ্যানেলে ১৭ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা এবং অন্যান্য উন্নয়নে ব্যয় হয়েছে প্রায় সাড়ে ৫৩ হাজার কোটি টাকা। একই দিন ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হবে প্রায় ৬৮ কোটি টাকার অন্য চারটি প্রকল্পের। সবমিলিয়ে ৮৮ হাজার কোটি টাকার ২০টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন সরকারপ্রধান।