উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গে একটি দ্বিপক্ষীয় প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। পাশাপাশি উত্তর কোরিয়ার নেতা ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার প্রতি পূর্ণ সমর্থনেরও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
গত ২৪ বছরে উত্তর কোরিয়ায় পুতিনের প্রথম সফরে রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ে অনুষ্ঠিত শীর্ষ সম্মেলনে গত বুধবার (১৯ জুন) স্বাক্ষরিত এই কৌশলগত চুক্তির অধীনে সামরিক সহযোগিতার প্রতিশ্রুতির কথা বলা হয়েছে।
গত কয়েক বছরে এটি রাশিয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। কিম এটিকে ‘জোটের মতো’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
চুক্তি স্বাক্ষরের পর এক সংবাদ সম্মেলনে রুশ প্রেসিডেন্ট এটিকে ‘যুগান্তকারী দলিল’ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, যে বিস্তৃত অংশীদারিত্ব চুক্তি আজ স্বাক্ষরিত হলো এতে অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি চুক্তি স্বাক্ষরকারী কোনো দেশ আক্রমণের শিকার হলে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
তিনি আরো বলেছেন, ইউক্রেনকে এফ-১৬ যুদ্ধবিমানসহ দূরপাল্লার অস্ত্র সরবরাহ গুরুত্বপূর্ণ চুক্তির লঙ্ঘন। এর আলোকে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সামরিক-কারিগরি সহযোগিতার উন্নতি বাদ দিচ্ছে না রাশিয়া।
রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়া দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর রাষ্ট্র হিসেবে উত্তর কোরিয়ার প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই একে-অপরের মিত্র এবং ২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর পর থেকে দেশদুটির সম্পর্ক আরো গাঢ় হয়।
যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা অভিযোগ করে আসছে যে, উত্তর কোরিয়ার সরবরাহ করা গোলাবারুদ ও ক্ষেপণাস্ত্র ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যবহার করছে রাশিয়া এবং নতুন করে স্বাক্ষর হওয়া এই চুক্তি আরো অস্ত্রশস্ত্র সরবরাহের ক্ষেত্রে আশঙ্কা তৈরি করছে।
অন্যদিকে, কিম জং উন প্রেসিডেন্ট পুতিনকে কোরিয়ার জনগণের সবচেয়ে প্রিয় বন্ধু হিসেবে উল্লেখ করে বলেছেন, তার দেশ রুশ সরকারের প্রতি পূর্ণ সংহতি ও সমর্থন প্রকাশ করছে।
২০০৬ সাল থেকে অস্ত্র কর্মসূচির কারণে জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞায় পড়া দেশ উত্তর কোরিয়ার নেতা কিমকে ধন্যবাদ জানিয়ে পুতিন বলেন, মস্কো উত্তর কোরিয়ার অবিচল সমর্থনের প্রশংসা করে।
ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, দুই দেশ পশ্চিমা হুমকিকে সহ্য করবে না। উত্তর কোরিয়া প্রসঙ্গে তিনি জাতিসংঘের প্রতি নিষেধাজ্ঞার বিষয়টিকে পুনর্মূল্যায়নের আহ্বান জানান।