বিশ্বের ১৫০টি দেশে হোয়াটসঅ্যাপ নিয়ে এলো নতুন ফিচার। যার মাধ্যমে গ্রাহকরা চ্যানেল খুলতে পারবেন। ব্যক্তিগতভাবে গ্রাহকরা জরুরি আপডেট পেতে পারবেন এর মাধ্যমে। ব্যবহারকারী যাকে ফলো করবে, তা অন্য ফলোয়াররা দেখতে পাবেন না। এছাড়া এটি ব্যবহারকারী এবং ফলোয়ার উভয়েরই ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত রাখবে বলে দাবি করছে মেটা।
হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল কীভাবে ব্যবহার করা যাবে?
হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলগুলো পাওয়া যাবে ‘আপডেট’ নামক একটি নতুন ট্যাবে। এখানেই তারা সেই সব চ্যানেল এবং তাদের পোস্ট দেখতে পাবেন, যাদের তারা ফলো করেন বা ফলো করতে চান। চ্যানেলের আপডেট নোটিফিকেশন পাওয়ার জন্য প্রথমেই হোয়াটসঅ্যাপের সবশেষ সংস্করণটি আপডেট করে নিতে হবে। ফিচারটি ইতোমধ্যে অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএসে চলে এসেছে।
হোয়াটসঅ্যাপ খুললেই স্ক্রিনের ঠিক ওপরের দিকে ‘আপডেটস’ নামক অপশন দৃশ্যমান হবে। এই অপশনেই রয়েছে চ্যানেলের তালিকা, যেগুলো গ্রাহকরা ফলো করতে পারবেন। চ্যানেল ফলো করতে গেলে প্রথমে ‘+’ বাটনে ক্লিক করতে হবে, যা চ্যানেলের নামের পাশেই দেখতে পাওয়া যাবে। প্রোফাইলটি দেখতে চাইলেও এই চ্যানেলের নামে ট্যাপ করলেই হবে। চ্যানেলের যে কোনো আপডেটে হোয়াটসঅ্যাপের ডিফল্ট ইমোজি ব্যবহার করে রিঅ্যাক্ট করা যাবে। তার জন্য একটা মেসেজ প্রেস করে হোল্ড করতে হবে।
যে কারণে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল
মূলত ব্যবহারকারীদের জন্য প্রাইভেট ব্রডকাস্ট সার্ভিস চালু করাই হলো হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল তৈরির অন্যতম লক্ষ্য। টেলিভিশনে ব্যবহারকারী যেমন চ্যানেল দেখেন, অনেকটা সে আদলেই চ্যানেল হবে। কিন্তু তা অত্যন্ত গোপনীয় এবং হোয়াটসঅ্যাপের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। জিৎ, পড়শী, ক্যাটরিনা কাইফের মতো অনেক সেলিব্রিটি ইতোমধ্যে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল চালু করেছেন।
এনহ্যান্সড ডিরেক্টরি
যে কোনো কিছু খুঁজে নেয়া যাবে, যেগুলো দেশ অনুযায়ী স্বয়ংক্রিয় ফিল্টার হবে। তার পাশাপাশি ব্যবহারকারীরা সেই সব চ্যানেলও ফলো করতে পারবেন, যেগুলো অধিক সক্রিয় এবং বেশি ফলোয়ারের ভিত্তিতে জনপ্রিয়ও বটে।
রিঅ্যাকশনস
বিভিন্ন চ্যানেলের বিভিন্ন আপডেটে ইমোজি রিঅ্যাক্ট করে নিজের ফিডব্যাক জানাতে পারবেন চ্যানেল ফলোয়াররা। তবে সেই রিঅ্যাকশন অন্যদের কাছে দৃশ্যমান হবে না।
এডিটিং
একটা চ্যানেলের অ্যাডমিন তার আপডেটের পরিবর্তন করতে পারবে ৩০ দিন পর্যন্ত। তার পরে তা স্বয়ংক্রিয় সার্ভার থেকে ডিলিট হয়ে যাবে।