কোটা আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে মামলা, প্রতিবেদন ২১ আগস্ট

কোটা আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে মামলা, প্রতিবেদন ২১ আগস্ট

জাতীয় স্লাইড

জুলাই ১৪, ২০২৪ ৮:৫২ পূর্বাহ্ণ

চলমান কোটাবিরোধী আন্দোলনের সময় সরকারি কাজে বাধা প্রদান, দাঙ্গা সৃষ্টি ও দাঙ্গা দমনে কর্তব্যরতদের আক্রমণের অভিযোগে করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২১ আগস্ট দিন ধার্য করেছেন আদালত। এ মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় অনেক শিক্ষার্থীকে আসামি করা হয়েছে।

শনিবার (১৩ জুলাই) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী হায়দার মামলার এজহার গ্রহণ করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য এদিন ধার্য করেন। শুক্রবার (১২ জুলাই) রাতে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সের পরিবহন বিভাগের গাড়িচালক খলিলুর রহমান বাদী হয়ে রাজধানীর শাহবাগ থানায় এ মামলা করেন।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ১১ জুলাই কোটা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পূর্ব ঘোষিত আন্দোলনের কর্মসূচি ছিল। সে অনুযায়ী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে অজ্ঞাতপরিচয় ছাত্ররা জড়ো হয়ে বিভিন্ন হলের সামনে দিয়ে প্রদক্ষিণ করে বিকেল ৪টার সময় স্লোগান দিতে দিতে শাহবাগ মোড়ের দিকে অগ্রসর হতে থাকেন। একপর্যায়ে আন্দোলনকারীরা শাহবাগ মোড় অতিক্রম করে বেআইনি জনতায় আবদ্ধ হয়ে দাঙ্গা সৃষ্টি করে সরকারি দায়িত্ব পালনে বাধা সৃষ্টি করেন। তারা শাহবাগ মোড়ে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে ফেলেন ও পুলিশের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি করেন। এসময় কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের মারধর করে সাধারণ জখম করেন।

পরে তারা হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের দিকে অগ্রসর হতে থাকলে পুলিশের সিনিয়র কর্মকর্তারা ছাত্রদের বুঝিয়ে-শুনিয়ে পুনরায় শাহবাগ মোড়ে ফিরিয়ে আনতে যায়। এ সময় বিএসএমএমইউয়ের পাশে নিরাপদ স্থানে রাখা এপিসি-২৫ ও ওয়াটার ক্যাননের চারদিকে ঘেরাও করে অনেক সংখ্যক আন্দোলনকারীরা উঠে উদ্দাম নৃত্য শুরু করেন। তারা ওয়াটার ক্যানন চালককে গাড়ি থেকে জোর করে বের করার চেষ্টা ও গতিরোধ করেন। এর ফলে এপিসি ২৫ এর সামনের দুইটি এসএস স্ট্যান্ড, বনাটের উপরে বাম পাশে রেডিও অ্যান্টেনা এবং ডান পাশের পেছনের চাকার মার্টগার্ড চলি এবং ওয়াটার ক্যাননের বাম পাশের লুকিং গ্লাস ভেঙে অনুমানিক পাঁচ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি করেন। এ বিষয়ে শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়। ছাত্রদের অন্যান্য সিনিয়র স্যাররা বুঝিয়ে-শুনিয়ে এপিসি-২৫ ও ওয়াটার ক্যানন থেকে নামিয়ে আনেন এবং পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু তারা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে পানির বোতল, টেপটেনিস বল ও ইটের টুকরা ছুড়ে মারেন। এতে অনেক পুলিশ সমস্য আঘাতপ্রাপ্ত হন।

মামলার এজাহারে আরো উল্লেখ করা হয়, ঘটনাস্থলে উপস্থিত সব সিনিরয় কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্যরা অত্যন্ত ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে অজ্ঞাতপরিচয় ছাত্ররা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শাহবাগের আন্দোলনে যোগ দিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে বারডেম হাসপাতালের গেটের ব্যারিকেড ভেঙে পুলিশ সদস্যদের আহত করেন। তারা পুলিশকে উদ্দেশ্য করে বিভিন্ন ধরনের কটুক্তি করেন। ছাত্ররা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের ওপর হামলা এবং শাহবাগ থানায় ছাত্রদের ধরে নিয়ে গেছে বলে গুজব ছড়িয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করার চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে পুলিশকে মারতে তেড়ে আসেন ও পুলিশকে বিভিন্ন ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে শাহবাগ মোড় ত্যাগ করেন।

বিবাদীরা বেআইনিভাবে জড়ো হয়ে দাঙ্গা সৃষ্টি করে সরকারি কাজে বাধা দেন। তারা স্বেচ্ছায় আঘাত করেন, গতিরোধ, দাঙ্গা দমনকারী কর্তব্যরতদের প্রতি আক্রমণ ও বাধা দিয়ে ক্ষতিসাধন ও ভয়ভীতি দেখান বলেও এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *