এপ্রিল ২১, ২০২৪ ১০:২১ পূর্বাহ্ণ
বৈশাখের শুরুতেই তীব্র গরমে বিপর্যস্ত জনজীবন। গরমের কারণে সারাদেশে হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। প্রচণ্ড গরমে মাত্রাতিরিক্ত ঘাম বের হওয়ায় পানিশূন্যতার ঝুঁকিতে পড়ে শরীর। এ অবস্থায় নিজেকে সুস্থ রাখতে প্রচুর পরিমাণ পানি পান করতে হবে।
তবে কিছু খাবার আছে, যেগুলো খেলে শরীরের উপকার হতে পারে। গরমে ‘যেসব খাবার খাওয়া যাবে’, এমন খাবার সম্বন্ধেও জানিয়েছেন ল্যাবএইড হাসপাতালের পুষ্টিবিদ সামিয়া তাসনিম-
নিরাপদ পানি: গরমে নিরাপদ পানি পানের কোনও বিকল্প নেই। কারণ গরমের সময় ঘাম ও প্রস্রাবের সাথে শরীর থেকে সোডিয়াম, পটাশিয়াম বের হয়ে যায়। একজন সুস্থ মানুষের প্রতিদিন তিন থেকে সাড়ে তিন লিটার বা ১২ থেকে ১৩ গ্লাস পানি পান করা উচিৎ।
ডাবের পানি: শরীরে পানির ঘাটতি পূরণ করতে এবং ইলেকট্রলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখতে ডাবের পানি খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষের পক্ষেই প্রতিদিন ডাব কিনে খাওয়া প্রায় অসম্ভব একটা ব্যাপার। সেক্ষেত্রে তারা বিকল্প হিসেবে স্যালাইন পানি খেতে পারেন।
কম মশলা জাতীয় খাবার: মশলা জাতীয় ভারী খাবার খেতে ভালো লাগলেও গরমের সময় কম মশলা জাতীয় খাবারের ওপর জোর দিতে হবে। কারণ এগুলো সহজে হজমযোগ্য।
শাক-সবজি: বাজারে এখন ঝিঙ্গা, চালকুমড়া, লাউ, চিচিঙ্গা, সজনেডাঁটা, শাকের ডাঁটা ইত্যাদি কিনতে পাওয়া যাচ্ছে। এগুলোকে যদি পাতলা ঝোল করে রান্না করে খাওয়া হয়, তাহলে এগুলো একদিকে যেমন পুষ্টির চাহিদা জোগাবে, অপরদিকে শরীরে গরম অনুভব করাবে না।
পাতলা স্যুপ: স্যুপকে অনেকে মজা করে রোগীর খাবার বলে থাকেন। কিন্তু গরমের সময় একদম ‘ক্লিয়ার ভেজিটেবল’ স্যুপ (পাতলা করে সবজি স্যুপ) খেলে তা শরীরের জন্য উপকারী।
লেবু পানি: গরমের সময় লেবুর শরবত পান করলে তা শরীরের ক্লান্তি দূর করবে। সেক্ষেত্রে একদম সাধারণ পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে পান করা যেতে পারে। তবে যাদের হাইপারটেনশন বা উচ্চ রক্তচাপ নেই, তারা স্বাদের জন্য সামান্য লবণও ব্যবহার করতে পারেন।
ফলমূল: গরমে শরীরের পানির চাহিদা পূরণ করার জন্য ফলমূল খাওয়া উচিৎ। স্ট্রবেরি, শশা, জাম ইত্যাদি খাওয়া যেতে পারে। তবে বাংলাদেশের বাজারে এই সময়ে তরমুজে ভরপুর থাকে। তাই, গরমের ফল হিসেবে তরমুজ খাওয়া যেতে পারে। কারণ তরমুজে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ পানি থাকে।
কাঁচা আমের শরবত: কাঁচা আমের মাঝে ভিটামিন-সি থাকে। কাঁচা আমের সাথে মরিচ যুক্ত না করে যদি এটিকে শরবত হিসেবে খাওয়া যায়, তাহলে গরম কম অনুভব হতে পারে।
টক দই: পাকস্থলীকে সুস্থ রাখার জন্য প্রতিদিন টকদই খাওয়া যেতে পারে। টক দই খালিও খাওয়া যায়, আবার টকদইকে পানি দিয়ে গুলিয়েও খাওয়া যায়। অথবা, টক দইয়ের সাথে শশাও খাওয়া যেতে পারে।
ডিটক্স ওয়াটার: গরমের সময় ভারী খাওয়ার পর ডিটক্স খাবার খাওয়া যেতে পারে। ডিটক্স ওয়াটার হলো- পানি, লেবুর রস, শশা, গাজর, পুদিনা ইত্যাদির রসের সমন্বয়ে তৈরি একধরনের পানীয়।