গাজায় ইসরায়েলের জোড়া বিমান হামলায় নবজাতকসহ নিহত ১৫

গাজায় ইসরায়েলের জোড়া বিমান হামলায় নবজাতকসহ নিহত ১৫

আন্তর্জাতিক

জুলাই ২৯, ২০২৪ ৯:০২ পূর্বাহ্ণ

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার খান ইউনিস শহরে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর দুটি পৃথক বিমান হামলায় অন্তত ১৫ নিহত হয়েছে।

রোববার (২৮ জুলাই) চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আল-মাওয়াসি এলাকায় বিমান হামলার সময় বাস্তুচ্যুতদের তাঁবুতে থাকা মারিয়া আবু জিয়াদা নামের চার মাস বয়সী একটি মেয়েশিশুসহ পাঁচজন নিহত হয়েছে। খান ইউনিসের পশ্চিমে অবস্থিত আল-মাওয়াসি একটি ঘোষিত মানবিক এলাকা।

এছাড়া খান ইউনিস শহরের কেন্দ্রে একটি বাড়িতে আরেকটি বিমান হামলায় ১০ জন নিহত হয়েছে বলে স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী গত সোমবার থেকে আল-মাওয়াসির উপকূলীয় অঞ্চলসহ খান ইউনিসের আশপাশে অভিযান চালিয়েছে। গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থার মুহাম্মদ আল-মুগাইয়ের এএফপিকে বলেছেন, ‘আজ ইসরায়েলি দখলদারিত্ব লক্ষ্য করেছে…আল-মাওয়াসির আল-ইস্তাবল রাস্তায় বাস্তুচ্যুত মানুষের তাঁবু। পাঁচজন নিহত ও সাতজন আহতকে খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।’

অন্যদিকে এএফপির সঙ্গে যোগাযোগ করে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, তারা এ হামলার খবর খতিয়ে দেখছে।

আল-মাওয়াসিতে বসবাসকারী মরিয়ম আল-আস্তাল জানান, একটি নবজাতক শিশু এ হামলায় নিহত হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আমরা তাঁবুতে বসে ছিলাম…হঠাৎ আমরা একটি বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পাই।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমি শপথ করছি’, এই এলাকায় কোনো সামরিক তৎপরতা ছিল না।

সোমবার ইসরায়েল সতর্ক করেছিল, তাদের বাহিনী খান ইউনিস এলাকায় ‘জোরপূর্বক অভিযান’ চালাবে। এই এলাকা থেকে এপ্রিলে সেনা প্রত্যাহার করা হয়েছিল। তবে নতুন করে যুদ্ধ ও সামরিক অভিযানে ১৭০ জন নিহত হয়েছে বলে বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা শনিবার জানায়।

সামরিক বাহিনী বলেছে, তাদের সর্বশেষ অভিযান ছিল রকেট নিক্ষেপ প্রতিরোধের জন্য। এছাড়া তারা বুধবার ঘোষণা করে, সেনারা ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার সময় জব্দ করা পাঁচ ইসরায়েলির লাশ উদ্ধার করেছে।

গাজায় ইসরায়েলের বর্বরোচিত সামরিক অভিযানে এখন পর্যন্ত অন্তত ৩৯ হাজার ৩২৪ জন নিহত হয়েছে বলে উপত্যকাটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *