ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বলেছেন, আল-মাওয়াসি শরণার্থী শিবিরে হামলায় শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। এই হামলার জন্য ইসরাইল ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দায়ী।
শনিবার এক বিবৃতিতে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস এসব কথা বলেন। খবর জিও নিউজের।
আব্বাস বলেন, এই হামলার জন্য ইসরাইলি সরকারকে সম্পূর্ণরূপে দায়ী। সেই সঙ্গে মার্কিন প্রশাসনও। কারণ ইসরাইলের দখলদারিত্ব এবং গণহত্যার সব ধরনের সহায়তা প্রদান করে যুক্তরাষ্ট্র।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শনিবার খান ইউনিস শহরের পশ্চিমের বাস্তুচ্যুত মানুষের শিবিরে ইসরাইলি হামলায় অন্তত ১০০ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৩০০ জনের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে জানিয়েছে, ইসরাইলি সামরিক বাহিনী এই এলাকাটিকে নিরাপদ অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা দিয়ে ফিলিস্তিনিদের সেখানে আশ্রয় নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিল। কিন্তু সেখানেই এই হামলা করা হলো।
এ ঘটনার একজন প্রত্যক্ষদর্শী বিবিসিকে বলেছেন, হামলার স্থানটিকে দেখে মনে হচ্ছে সেখানে ‘ভূমিকম্প’ আঘাত হেনেছে। এ ছাড়া ওই এলাকার বিভিন্ন ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, ধ্বংসাবশেষের মধ্য থেকে হতাহতদের স্ট্রেচারে তোলা হচ্ছে।
অন্যরা বলছেন, হামলার মাত্রা এত শক্তিশালী ছিল যে তাদের তাঁবু ভেঙ্গে গেছে। মানুষের মরদেহ ও শরীরের অঙ্গ মাটিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে।
গাজা সিটির বাসিন্দা শেখ ইউসেফ বাস্তুচ্যুত হয়ে এখন আল-মাওয়াসি এলাকায় বাস করেন। তিনি বলেন, আমি কোথায় ছিলাম বা কী ঘটছিল তাও বলতে পারব না। আমি তাঁবু রেখে আশপাশে তাকিয়ে দেখলাম, সব তাঁবু ভেঙে গেছে। মানুষের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ, সর্বত্র লাশ। বয়স্ক নারীরা মেঝেতে পড়ে আছেন। ছোট বাচ্চাদের লাশ টুকরো টুকরো হয়ে পড়ে আছে।
তবে ইসরায়েলের দাবি, এবারের বিমান হামলায় ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদল হামাসের সামরিক বিভাগের প্রধান এবং ৭ অক্টোবরের হামলার কথিত এক মাস্টারমাইন্ডকে নিশানা করে করেছে ইসরাইলি সেনারা।