ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় সমুদ্রপথে আরো ত্রাণ সহায়তা পাঠাতে উপত্যকাটির উপকূলে বন্দর নির্মাণ করবে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী।
বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় রাতে স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন ভাষণে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ ঘোষণা দিয়েছেন।
জানা গেছে, ভূমধ্যসাগরীয় উপকূলটিতে বন্দর তৈরি করতে কয়েক সপ্তাহ সময় লাগবে। তবে বন্দরটি তৈরি হলে গাজায় প্রতিদিন কয়েকশ ত্রাণভর্তি ট্রাক পাঠানো সম্ভব হবে।
এছাড়া জাহাজ থেকে উপকূলে ত্রাণ পাঠানোর জন্য একটি অস্থায়ী সেতুও নির্মাণ করা হবে।
যদিও প্রাথমিকভাবে কারা এই বন্দরটি নির্মাণ করবে তার কোনও স্পষ্ট নির্দেশনা পাওয়া যায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, ভার্জিনিয়ার ফোর্ট স্টোরিতে অবস্থিত ৭ম ট্রান্সপোর্টেশন ব্রিগেড নামে একটি সেনা ইউনিট এ কাজটি করতে পারে।
এক সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গাজায় কোন সমুদ্র বন্দর না থাকায় সেখানে ত্রাণ পাঠাতে হিমশিম খাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। অথচ গাজার নিরীহ ফিলিস্তিনিদের সাহায্যে বাইডেন প্রশাসনের ওপর অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ছে। ফলে বন্দরে নির্মাণের এই পরিকল্পনা করা হয়েছে।
তারা বলেছেন, বন্দর নির্মাণের ফলে গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশের পরিমাণ বাড়বে। জাহাজগুলোতে খাদ্য, পানি, ওষুধ থাকবে। আর অস্থায়ীভাবে সেখানে আশ্রয়ও নেয়া যাবে। প্রাথমিকভাবে সাইপ্রাস থেকে গাজায় ত্রাণসহায়তা পাঠানো হবে বলেও জানিয়েছেন তারা। তবে ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনী সেগুলো পরীক্ষা করে পাঠাবে।
গাজার মোট জনসংখ্যার এক চতুর্থাংশ দুর্ভিক্ষের কবলে পড়তে পারে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ।
এই সপ্তাহে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, উত্তর গাজায় শিশুরা অনাহারে মারা যাচ্ছে। সেখানে খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির জন্য হাহাকার করছে অন্তত তিন লাখ ফিলিস্তিনি।
সূত্র: বিবিসি