নভেম্বর ৪, ২০২৩ ১০:২৮ পূর্বাহ্ণ
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৯ হাজার ৩০০ জনে দাঁড়িয়েছে। এই নিহতদের মধ্যে অর্ধেকের বেশি নারী ও শিশু। ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন আজ ২৯তম দিনে গড়িয়েছে।
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৩০০ জনে। নিহতদের মধ্যে ৯ হাজার ১৫৫ জনই গাজার এবং বাকি ১৪৪ জন ইসরায়েল অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড পশ্চিম তীরের। এছাড়া, ইসরায়েলি হামলায় আহত হয়েছে অন্তত ২৬ হাজার ২০০ জন। আহতদের মধ্যে ২৪ হাজার জনই গাজার অধিবাসী, বাকিরা পশ্চিম তীরের।
গাজায় ইসরায়েলি হামলার তীব্র নিয়ে কথা বলেছেন ফিলিস্তিনি সাংবাদিক হিন্দ খুদরী। এক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত এক ভিডিওতে গাজার শিফা হাসপাতালের ভয়াবহ পরিস্থিতির বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, তিনি, তার সহকর্মীসহ একটি এলাকায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। সেখানে হঠাৎ করেই ইসরায়েলি বাহিনী ড্রোন থেকে বিস্ফোরক ফেলে। ইসরায়েলি সেই হামলায় তিনি হিন্দ আহত না হলেও তার এক চাচাতো বোন আহত হন। পরে তাঁকে নিয়ে সেখান থেকে তাঁরা আল-শিফা হাসপাতালে যান।
শিফা হাসপাতালের পরিস্থিতি প্রসঙ্গে হিন্দ খুদরী বলেন, হাসপাতালটির চারদিকে কেবল মানুষের দেহের ছড়াছড়ি। কিন্তু তাদের কোনো ধরনের সেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। কোনো বেড নেই, কোনো স্ট্রেচার নেই, নেই কোনো ডাক্তার। চারদিকে কেবল রক্ত আর রক্তের গন্ধ।
এদিকে, গাজার প্রশাসনের জনসংযোগ বিভাগের বরাত দিয়ে তুরস্কের সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি জানিয়েছে, মাত্র ২৪ দিনে অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী ১৮ হাজার টনের বেশি বোমা ফেলেছে। গত ৩০ অক্টোবর গাজার জনসংযোগ বিভাগ এ তথ্য দেয়।
সে হিসাবে ২৪ দিনে গাজার প্রতি বর্গকিলোমিটারে গড়ে অন্তত ৫০ টন বা ৫০ হাজার কেজি বিস্ফোরক ফেলেছে ইসরায়েল। এই পরিমাণ বিস্ফোরক দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানের হিরোশিমায় ফেলা পারমাণবিক বোমার চেয়ে অন্তত দেড় গুণ বেশি ক্ষতি করতে সক্ষম।
জনসংযোগ বিভাগের বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, ২৩ থেকে ৩০ অক্টোবর ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় অন্তত ১২ হাজার টন বোমা ফেলেছে। যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানের হিরোশিমায় ফেলা পারমাণবিক বোমা যে পরিমাণ ক্ষতিসাধনে সক্ষম, তার প্রায় সমান।