নভেম্বর ১২, ২০২৩ ১১:৪৫ পূর্বাহ্ণ
গাজার পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে বসেছিল আরব ও মুসলিম দেশের নেতারা। ওই বৈঠকে ইসরায়েলের হামলার নিন্দা জানানোর পাশাপাশি গাজায় দ্রুত যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন তারা। তবে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক কোনো অর্থনৈতিক বা রাজনৈতিক পদক্ষেপ নেয়ার বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেননি নেতারা। খবর টিআরটি ওয়ার্ল্ডের
হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান সংঘাত নিয়ে শনিবার সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে জরুরি সম্মেলনে বসেন আরব লিগ ও ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) নেতারা। গাজার পরিস্থিতি নিয়ে করণীয় ঠিক করতে জরুরি এ সম্মেলনের আহ্বান করা হয়।
সম্মেলনে ইসরায়েলের কড়া সমালোচনা করেন সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। তিনি বলেন, ফিলিস্তিনের জনগণের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধের জন্য দখলদার (ইসরায়েল) কর্তৃপক্ষ দায়ী।
এ সময় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি বলেন, মুসলিম দেশগুলোর উচিত গাজায় হামলার জন্য ইসরায়েলি বাহিনীকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আখ্যায়িত করা।
সম্মেলনে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বলেন, ফিলিস্তিনিদের ওপর গণহত্যা চালানো হচ্ছে। আন্তর্জাতিকভাবে তাদের সুরক্ষা দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ বলেন, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক শক্ত ব্যবস্থা নেয়া না হলে, এ সম্মেলনের কোনো অর্থ থাকবে না।
তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেফ তাইয়েপ এরদোগান পশ্চিমাদের সমালোচনা করে বলেন, যারা সব সময় মানবাধিকার ও স্বাধীনতার পক্ষে কথা বলে, তারা ফিলিস্তিনের চলমান গণহত্যা নিয়ে আজ নিশ্চুপ। এটি লজ্জার।
ঐ বৈঠকে আলজেরিয়া, লেবাননসহ কয়েকটি দেশ ইসরায়েলসহ এর মিত্রদের জ্বালানি তেল সরবরাহ বন্ধে হুমকি প্রদানের প্রস্তাব দেয়। একই সঙ্গে ইসরায়েলের সঙ্গে আরব লিগের যেসব দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে, তা ছিন্ন করার প্রস্তাব দেয় তারা। তবে সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইনসহ অন্তত তিনটি দেশ এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। সেদিন থেকেই গাজায় বিরামহীন হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েলি বাহিনী। গতকাল পর্যন্ত ৩৬ দিনে এ হামলায় গাজায় ১১ হাজার ৮০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তাদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু।