গাজার আল-শিফা হাসপাতালে টানা দুই সপ্তাহ অভিযান চালানোর পর গত সোমবার সেখান থেকে সরে যায় ইসরায়েলি বাহিনী। ইসরায়েল দাবি করে, এই পুরো সময়টায় তারা হাসপাতালের ভেতর ফিলিস্তিনিদের সাথে যুদ্ধ করেছে। এতে গাজার বৃহত্তম হাসপাতাল এখন একটি কঙ্কালসার কাঠামোয় রূপান্তরিত হয়েছে। যার ভেতরে রয়েছে শুধুই মরদেহ এবং সমাধি। এমনটাই দাবি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
জানা গেছে, গত শুক্রবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি দল ওই হাসপাতালের ভেতর ঢোকার অনুমতি পায়। তারা ২৫ মার্চ থেকেই আল-শিফায় যাওয়ার চেষ্টা করছিল। হাসপাতালটির ভেতরে তারা অন্তত পাঁচটি মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেছে। পেয়েছে অনেকের সমাধি। গাজায় স্বাস্থ্যসেবার মেরুদণ্ড ছিল এই হাসপাতালটি। তবে ইসরায়েলের হামলায় তার প্রতিটি ইঞ্চি ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে। হাসপাতালের মূল্যবান সরঞ্জাম হয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নয়তো একেবারেই ধুলোয় মিশে গেছে। ভবিষ্যতে এই হাসপাতাল আবার ব্যবহারযোগ্য হবে কিনা তাও বলার উপায় নেই।
জানা গেছে, বর্তমানে গাজার ৩৬টি হাসপাতালের মধ্যে মাত্র ১০টি আংশিক চলমান আছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রেয়েসুস বলেছেন, গাজায় দুর্ভিক্ষ আসন্ন, ছড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন রোগ, হামলায় আহত মানুষের সংখ্যাও বাড়ছে। গাজায় থাকা অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা স্থাপনার সুরক্ষা চান তিনি, এছাড়া স্বাস্থ্যকর্মী এবং ত্রাণকর্মীদের সুরক্ষা দেওয়ার আহ্বান জানান। গাজায় নির্বিঘ্নে ত্রাণ প্রবেশ এবং যুদ্ধবিরতির দাবি করেন তিনি।