নভেম্বর ৩, ২০২৩ ৯:৩৭ পূর্বাহ্ণ
ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ড পুরোপুরি ঘিরে ফেলার দাবি করেছে ইসরাইলি বাহিনী। সেই সঙ্গে গাজায় সামরিক অভিযান আরও ‘জোরদার’ করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে তারা। তবে হামাসের দাবি, যোদ্ধারা ইসরাইলি সামরিক সরঞ্জাম ও সেনাদের বিরুদ্ধে ‘সফল অভিযান’ চালিয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি গাজা ইসরাইলের জন্য ‘অভিশাপ’ হয়ে দাঁড়াবে বলেও হুশিয়ারি দিয়েছে তারা।
বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট বলেন, টানেল ব্যবস্থার বিরুদ্ধে লড়াই করতে দেশটির অনন্য কৌশল রয়েছে। ইসরাইলি বাহিনী গাজা শহরকে ঘিরে রেখেছে এবং সামনের দিকে চাপ দিচ্ছে।
ইসরাইলে মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারির দাবি, সামরিক বাহিনী ‘হামাস ফাঁড়ি, সদর দপ্তর, লঞ্চ পজিশন এবং লঞ্চ অবকাঠামোতে আক্রমণ করছে’ এবং ‘মুখোমুখি লড়াইয়ে’ নিয়োজিত। তারা বেসামরিক নাগরিকদের দক্ষিণে সরে যেতে বলেছে।
যদিও ইসরাইলের ‘গাজা জয়ের স্বপ্ন’ অভিশাপ হয়ে দাঁড়াবে বলে হুশিয়ারি দিয়েছে হামাস। সংগঠনটির সশস্ত্র শাখার মুখপাত্র আবু ওবাইদা বলেন, কাসাম ব্রিগেডের যোদ্ধারা ইসরাইলি সামরিক সরঞ্জাম ও সেনাদের বিরুদ্ধে ‘সফল অভিযান’ চালিয়ে যাচ্ছে।
টেলিগ্রামে শেয়ার করা এক অডিওবার্তায় আবু ওবাইদা বলেছেন, হামাসযোদ্ধারা ‘বড় সংখ্যক’ ইসরাইলি বাহিনীকে হত্যা করেছে। তারা ইসরাইলি বাহিনীর ওপর ‘আর্মারবিরোধী ক্ষেপণাস্ত্র, সরাসরি সংঘর্ষ এবং ড্রোন হামলার’ মাধ্যমে আক্রমণ করছে। ইসরাইলি সেনাদের সঙ্গে লড়াই করতে ‘আমাদের যোদ্ধারা আবির্ভূত হয়।’
এদিকে ফিলিস্তিনের রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (পিআরসিএস) জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার মিশরীয় রেড ক্রিসেন্ট থেকে রাফাহ ক্রসিং হয়ে ১০৬টি ত্রাণ সহায়তার ট্রাক গাজায় প্রবেশ করেছে। যেগুলোয় শুকনো খাবার ছাড়াও সুপেয় পানি এবং চিকিৎসা সামগ্রী রয়েছে। পিআরসিএসের তথ্যানুযায়ী, এ পর্যন্ত মিশর থেকে গাজায় সফলভাবে পৌঁছানো মোট ট্রাকের সংখ্যা ৩৭৪টি। তবে অবরুদ্ধ গাজায় এখনো জ্বালানি সরবরাহের অনুমতি মেলেনি।
অন্যদিকে হামাস পরিচালিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ইসরাইলি বিমান হামলায় অন্তত ৯ হাজার ৬১ জন নিহত হয়েছেন। এরই মধ্যে তিন হাজার ৭৬০ জনই শিশু। পাশাপাশি নিহতদের মধ্যে দুই হাজার ৩২৬ জন নারীও রয়েছেন। এই সময়ে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৩২ হাজার ফিলিস্তিনি।