যুদ্ধবাজ ইসরাইল অবরুদ্ধ গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং বন্দি বিনিময় আলোচনায় তাদের অবস্থান জানান দিয়েছে আগেই। এবার গাজা উপত্যকায় চলমান আগ্রাসন আরও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নেতানিয়াহু প্রশাসন।
রোববার এক প্রতিবেদনে এমনটাই জানিয়েছে ইসরাইলি সংবাদ মাধ্যম ওয়ালা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাজনৈতিক সূত্রের বরাত দিয়ে ওয়ালা জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি আলোচনায় ইসরাইলের অবস্থানকে শক্তিশালী করার জন্য দেশটির নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রিসভা সম্প্রতি সামরিক বাহিনীকে গাজায় তাদের অভিযান জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছে।
ইসরাইলি সংবাদমাধ্যমটির মতে, এ পদক্ষেপটি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের ইসরাইল সফরের সঙ্গে মিলে যায়। ইসরাইলি নিরাপত্তা কর্মকর্তারা আশা করেন যে, তিনি হামাসের সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য তেলআবিবের ওপর উল্লেখযোগ্য চাপ সৃষ্টি করবেন।
গত কয়েক মাস ধরে যুক্তরাষ্ট্র, কাতার এবং মিশর গাজায় যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় নিশ্চিত করতে এবং গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার জন্য ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে।
কিন্তু ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যুদ্ধ বন্ধে হামাসের দাবি পূরণে অস্বীকৃতি জানানোর কারণে মধ্যস্থতা প্রচেষ্টা স্থবির হয়ে পড়েছে।
এর আগে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবিতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের একটি প্রস্তাব পাস হয়। সেই প্রস্তাব লঙ্ঘন করে ইসরাইল গাজায় ক্রমাগত তার নৃশংস আক্রমণ ও গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে। এতে আন্তর্জাতিক নিন্দার সম্মুখীন হলেও যুদ্ধ বন্ধ করছে না দেশটি।
স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে বর্বর ইসরাইলি বাহিনীর ক্রমাগত হামলায় গাজায় এ পর্যন্ত ৪০ হাজার ১৩৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যাদের বেশিরভাগই নারী এবং শিশু। এছাড়া প্রায় ৯৩ হাজার ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন।
ইসরাইলি আক্রমণের ১০ মাসেরও বেশি সময়ে খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের অবরোধের মুখে গাজার বিস্তীর্ণ অঞ্চল ধ্বংসস্তূপে পড়ে আছে। বাস্তচ্যুত হয়েছেন ২০ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি।
নারী ও শিশু হত্যাকারী ইসরাইলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার অভিযোগ রয়েছে। যা তাকে অবিলম্বে রাফাহ শহরে তার সামরিক অভিযান বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে।
সূত্র: মেহের নিউজ এজেন্সি