ভারতীয় মসলা সারা পৃথীবিতেই বেশ সমাদৃত। বিশ্বে মসলা রপ্তানির দিক থেকেও তাদের অবস্থান শীর্ষে৷ ইউরোপ, এশিয়া ও উত্তর আমেরিকার দেশগুলোতে তাদের পণ্য বিক্রি হয়৷তবে সাম্প্রতিক সময় দেশটির মসলার গুণমান নিয়ে দেখা দিয়েছে প্রশ্ন। এর কারণ, ফুড সেফ্টি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্স অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (এফএসএসএআই)-এর করা পরীক্ষায় ১২ শতাংশ মসলার নমুনা গুণমান ও সুরক্ষা সংক্রান্ত মাপকাঠি পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে।
দুটি জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের মসলার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পর এই পরীক্ষার উদ্যোগ নেয় দেশটির সরকার৷
সম্প্রতি ভারতের খাদ্য নিরাপত্তা ও মান নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন গুঁড়া মসলার নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষার উদ্যোগ নেয়৷ উচ্চমাত্রায় কীটনাশকের উপস্থিতি পাওয়ায় গত এপ্রিলে এমডিএইচ ও এভারেস্ট নামে দুটি ব্র্যান্ডের কিছু গুঁড়া মসলা বিক্রি নিষিদ্ধ করে হংকং৷ এরপর ভারত থেকে আমদানিকৃত সব ধরনের মসলার নিয়ন্ত্রণের কড়াকড়ি আরোপের ঘোষণা দেয় ব্রিটেন৷ নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রও বিষয়টি নজরে রাখার কথা জানায়৷ এমনই প্রেক্ষাপটে নড়েচড়ে বসেছে ভারতের কর্তৃপক্ষ৷
তবে এমডিএইচ ও এভারেস্টের দাবি, তাদের মসলা নিরাপদ৷ মসলাজাতীয় পণ্যে ভারতে এই দুটি ব্র্যান্ডই বেশ জনপ্রিয়৷
মে থেকে জুলাইর শুরুতে করা কর্তৃপক্ষের পরীক্ষার তথ্য-উপাত্ত ভারতের তথ্য অধিকার আইনের অধীনে সংগ্রহ করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স৷ ৪ হাজার ৫৪টি নমুনার মধ্যে ৪৭৪টির যথাযথ গুণমান পূরণে ব্যর্থ হয়েছে৷ এক্ষেত্রে জড়িত কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে রয়টার্সকে জানিয়েছে খাদ্য নিরাপত্তা ও মান নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ৷
জিওন মার্কেট রিসার্চের হিসাবে, ভারতের অভ্যন্তরীণ মসলার বাজারের আকার এক হাজার কোটি ডলারের ওপরে৷ গত মার্চে শেষ হওয়া আর্থিক বছরের হিসাবে এক বছরে রেকর্ড ৪৪৬ কোটি ডলারের মসলা ও মসলাজাতীয় পণ্য রপ্তানি করেছে ভারত৷
