চাকরি ছাড়তে বিশেষজ্ঞের প্রয়োজন হয় যে দেশে

চাকরি ছাড়তে বিশেষজ্ঞের প্রয়োজন হয় যে দেশে

চিত্র-বিচিত্র স্পেশাল

সেপ্টেম্বর ৩, ২০২৪ ৬:৪৪ পূর্বাহ্ণ

অন্য যে কোনো দেশের মানুষের তুলনায় জাপানের মানুষ প্রচণ্ডরকম পরিশ্রমী। মাত্রাতিরিক্ত কাজ করার কারণে প্রতি বছর প্রায় দশ লাখ মানুষ জাপানে মারা যান বলেও জানা গেছে। কাজ পাগল দেশটিতে চাকরি ছাড়তে হলে রীতিমতো বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নিতে হয় বলে জানা গেছে। এমন তথ্যই উঠে এসেছে সিএনএনের প্রতিবেদনে।

২৪ বছর বয়সি ইউকি ওয়াতানাবে প্রতিদিন ১২ ঘণ্টা অফিসে পরিশ্রম করতেন। এটি একটি ছোট দিন হিসাবে বিবেচিত হয় জাপানে। জাপানে সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত কর্মদিবসকে সর্বনিম্ন ধরা হয়। মাঝেমধ্যে অফিস থেকে তিনি রাত ১১টায় বের হন। অতিরিক্ত কাজের চাপ থেকে রেহাই পেতে তিনি চাকরি ছাড়তে চেয়েছিলেন। কিন্তু সমস্যা এখানেই। জাপানে কাজ থেকে কিছুদিনের ছুটি নেওয়া যথেষ্ট জটিল প্রক্রিয়া। কোনো কর্মচারী পদত্যাগ করতে চাইলে বিষয়টিকে অসম্মানের চূড়ান্ত রূপ হিসাবে দেখা হয় দেশটিতে। জাপানে কর্মজীবীরা দীর্ঘ সময় ধরে একই কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকেন।

পদত্যাগ করতে চাইলে কোনো কোনো ক্ষেত্রে ক্ষুব্ধ হয়ে বসের পদত্যাগপত্র ছিঁড়ে ফেলা এবং কর্মচারীদেরকে থাকতে বাধ্য করা এখানে নতুন নয়। ওয়াতানাবে তার আগের চাকরিতে অসন্তুষ্ট ছিলেন। তিনি বলেছেন, তার সাবেক বস প্রায়ই তাকে উপেক্ষা করতেন। তাকে খারাপ বোধ করাতেন। কিন্তু তিনি পদত্যাগ করার সাহস পাননি। শেষমেশ এই পরিস্থিতি থেকে বের হয়ে আসার তিনি একটি উপায় খুঁজে পান। তিনি একটি সংস্থার শরণাপন্ন হয়েছিলেন যারা কর্মচারীদের চাকরি ছেড়ে দিতে সহায়তা করে। অনেক জাপানি কর্মী এই প্রক্সি ফার্মগুলোকে তাদের চাপমুক্ত পদত্যাগ করতে সহায়তা করার জন্য ভাড়া করে থাকেন।

কোভিডের আগেও এই ধরনের ফার্মগুলোর অস্তিত্ব ছিল। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, মহামারির পরে এর জনপ্রিয়তা বেড়েছে। দেশজুড়ে পদত্যাগকারী সংস্থাগুলোর সংখ্যা সম্পর্কে কোনো সরকারি গণনা নেই। তবে দিন দিন এই ফার্মের গুরুত্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে কাজ পাগল এই দেশটিতে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *