দুবছর পর পাকিস্তানের মাটিতে বসছে মর্যাদার চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আসর। আসন্ন টুর্নামেন্টটিতে যোগ্যতা অর্জন করতে হলে চলতি বিশ্বকাপে লিগ পর্বে প্রথম ৮ দলের মধ্যে থাকতে হতো। যে কারণে রাউন্ড রবিন লিগ পদ্ধতিতে হওয়া বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ড যেন রূপ নিয়েছিল অলিখিত চ্যাম্পিয়নস ট্রফির বাছাইপর্বে।
রোববার স্বাগতিক ভারত বনাম নেদারল্যান্ডসের ম্যাচ দিয়ে শেষ হয়েছে বিশ্বকাপের লিগপর্ব। সেই সঙ্গে চূড়ান্ত হয়ে গেল চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আট দলও। স্বাগতিক হিসেবে পাকিস্তানের জায়গা আগে থেকেই নির্ধারিত।
এবারের বিশ্বকাপের চার সেমিফাইনালিস্ট ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের টিকিটও চূড়ান্ত। এ ছাড়া বাকি তিন দল-আফগানিস্তান, ইংল্যান্ড ও বাংলাদেশ।
২০২১ সালে নির্ধারণ করা হয়েছিল— ভারত বিশ্বকাপই হবে ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির যোগ্যতা অর্জনের মাপকাঠি। যদিও দলগুলো বিষয়টি জানতে পারে চলতি বিশ্বকাপের মাঝপথে। আর তাই প্রথম দিকে পিছিয়ে পড়া দলগুলো চাপে পড়ে যায় অনেকটাই।
যেমন বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড এবারের বিশ্বকাপে শুরুর দিকে লিগ তালিকায় তলানিতে ছিল। শেষ দিকে ঘুরে দাঁড়িয়ে তিন জয়ে পয়েন্ট টেবিলের সাতে থেকে বিশ্বকাপ শেষ করেছেন ডিফোন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। সেই সঙ্গে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলাও নিশ্চিত হয়েছে তাদের।
রূপকথার মতো বিশ্বকাপে অল্পের জন্য সেমিফাইনাল মিস হলেও চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলা নিয়ে তেমন হিসাব-নিকাশে যেতে হয়নি আফগানদের। নয় ম্যাচে চার জয়ে টেবিলের ছয়ে থেকে বিশ্বকাপ শেষ করেছে তারা।
মূল লড়াইটা হচ্ছিল শ্রীলংকা, বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডসকে ঘিরে। এই তিন দলই নয় ম্যাচে জিততে পেরেছে দুটি করে ম্যাচ। হেরেছে সাত ম্যাচ।
তবে নেট রানরেটে এগিয়ে থাকায় যথাক্রমে আটে বাংলাদেশ, নয়ে শ্রীলংকা ও দশে নেদারল্যান্ডস। চলতি বিশ্বকাপের মূলপর্বে উঠতে ব্যর্থ হওয়া জিম্বাবুয়ে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও আয়ারল্যান্ডেরও আসন্ন চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলা হচ্ছে না।